বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
হুগলির জেলাশাসক এদিন বলাগড়ে পরিদর্শনে গিয়ে নিজেই খাবার চাখতে বসে পড়েন। পরে বলেন, আমরা প্রশাসনের তরফে একই দিনে একহাজার স্কুলে পরিদর্শন কর্মসূচি পালন করেছি। সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সর্বত্র নিয়ম মেনেই মিড ডে মিল খাওয়ানো হচ্ছে। তবে এই নজরদারি ধারাবাহিকভাবে চলবে। এদিকে, চুঁচুড়ার কাপাসডাঙার সতীশ সেন বিদ্যাপীঠে পরিদর্শনে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন ডিম খাওয়ানো হলেও খাতা অনুসারে ২০ দিনে একদিন ডিম খাওয়ানো হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনের ওই কর্তা। অতিরিক্ত জেলাশাসক অবশ্য বলেন, যা বলার রিপোর্টে বলব। তবে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণকান্তি কুমার বলেন, আগের প্রধান শিক্ষক কিছু সমস্যা পাকিয়ে রেখে গিয়েছেন। তার জেরেই আমাদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে দরিদ্র ছাত্রদের ভিড় থাকায় আমরা অষ্টম শ্রেণীর পরেও শিক্ষার্থীদের খাওয়াতাম। এদিন প্রশাসনের কর্তা না করায় তা বন্ধ করা হচ্ছে।
হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে ফ্যানভাত আর নুন দিয়ে মিড ডে মিল খাওয়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। রাতারাতি ওই স্কুলের দুই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বুধবারই আরেক শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে গোটা জেলা জুড়ে স্কুল পরিদর্শন কর্মসূচি নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এদিন জেলাশাসক নিজে বলাগড়ের অক্ষয়অম্বিকা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে মিড মিলের রান্নার ব্যবস্থা থেকে নথি খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে শিশুদের সঙ্গে বসে মিড ডে মিল খেয়েও দেখেন। জেলাশাসককে হাতের কাছে পেয়ে শিক্ষকরা অবশ্য খাওয়ার জায়গার অভাবের কথা তোলে। জেলাশাসক স্কুলে অতিরিক্ত বিল্ডিং অনুমোদন করার বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সেখানকার ব্যবস্থায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করলেও সার্বিকভাবে পরিদর্শনে সব জায়গায় সুখকর অনুভূতি প্রশাসনের হয়নি। তেমনি জেলা প্রশাসনের পরিদর্শনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় সমস্ত স্কুলেই এদিন ভালো খাবার খাওয়ানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল। জেলা সদর থেকে দূরবর্তী এলাকাতেও প্রায় একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। ঠিক কতদিন এই ভোজের ব্যবস্থা স্থায়ী হয় সেটাই এখন দেখার।