পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যান্য অভিভাবকদের দাবি, কয়েকদিন ধরেই ওই শিশুটির উপরে অত্যাচার চলত। সোমবার সে শৌচাগারে গেলে তার উপর অত্যাচার তীব্র হয়। বাড়ি ফিরে সে কান্নাকাটি করলেও সেভাবে কিছু বলেনি। বাড়ির লোক জিজ্ঞাসা করে যাওয়ায় সে মঙ্গলবার পুরো ঘটনা জানায়। স্কুলকে অভিযোগ জানানোর পরেও সেভাবে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার অভিভাবকরা বিক্ষোভে শামিল হন। যদিও, স্কুলের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার খবর পেয়েই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা শিশুটির বাড়ি যান। উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের ছবিও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন সে সপ্তম, অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর তিন ছাত্রীকে চিহ্নিত করে। তবে, অভিযুক্তদের বয়সও যথেষ্ট কম হওয়ায় তাদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগছিল। এদিন অভিভাবকদের একটি প্রতিনিধিদল স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক বসে। সেখানেই আশ্বাস দেওয়া হয়, অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করে ঘটনার তদন্ত করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ শান্ত হয়। বিক্ষোভ দানা বাঁধার সময়েই পুলিসবাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছিল স্কুলের তরফে। তাই ভাঙচুর বা অন্যান্য শিক্ষিকাদের হেনস্তা ঠেকানো গিয়েছে। যদিও, পুলিসের কাছে বিকেল পর্যন্ত যৌন হেনস্তার কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলেই থানা এবং ডিসি (বন্দর)-এর অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে। অবশ্য, স্কুলকে দেওয়া একটি অভিযোগপত্রের কপি থানাতেও জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিভাবকদের দাবি।
ঘটনার তদন্তে বাধ সেধেছে স্কুলের অকেজো সিসিটিভি। কয়েকদিন আগে বাজ পড়ে নাকি সেগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই ঘটনার ফুটেজ পাওয়া সম্ভব নয়। অভিভাবকদের প্রশ্ন, শিশুরা যখন শৌচাগারে যায়, তখন তো আয়াদের থাকার কথা। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন না কেন? স্কুলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সবরকম অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রীকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য সবরকম সহযোগিতা করা হবে। শিশু কমিশনেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।