রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের (ডিসি ১) অজয়কুমার ঠাকুর বলেন, এখন এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে। গুলি চালানোর অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষ সঞ্জীব সাহা বলেন, দু’টি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সমস্যা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিস ও প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কলেজের ভিতরে যাতে গোলমাল না থাকে তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। কলেজের নিরাপত্তা কর্মীদের বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকেই কলেজে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কলেজে প্রাতঃ, দিবা ও সান্ধ্য বিভাগে ক্লাস হয়। লোকসভা ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর এবিভিপি তিনটি বিভাগেই নিজেদের শক্তপোক্ত ইউনিট গড়ে তোলে। এরপর থেকে কলেজের ইউনিয়ন রুম, কলেজের বাইরে থাকা টিএমসিপির পার্টি অফিসে বসতে শুরু করেন এবিভিপি কর্মীরা। মূলত কলেজের ইউনিয়ন রুম ও কমন রুমে এবিভিপির ছাত্রছাত্রীদের আধিপত্য বাড়ায় সেখান থেকে টিএমসিপির ছাত্রছাত্রীরা কার্যত সরে আসেন।
বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ এবিভিপির যেসব ছাত্রছাত্রী ইউনিয়ন রুম ও কমন রুমে বসেছিলেন, তাঁদের জোর করে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করায় দর্শন অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তথা এবিভিপি নেত্রী বিপাশা নাথকে কলেজের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে ওই ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে চোখেমুখে জল দিয়ে প্রথমে তাঁর জ্ঞান ফেরানো হয়। এরপর ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই খবর বিজেপির শহর নেতৃত্বকে জানান এবিভিপি সংগঠনের সদস্যরা। তাই শুনে টিএমসিপির বহিরাগতদের মতো বিজেপির নেতা-কর্মীরাও কলেজ গেটে জড়ো হন।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে সাত রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি চার থেকে পাঁচটি বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পুলিসকে ফোন করে বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানায়। এরপর বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যা ফ এসে লাঠি চালিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পায়েল সাহা বলেন, তৃণমূলের বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে আমাদের আচমকাই মারধর করতে শুরু করে। বান্ধবীদের বাঁচাতে যাওয়ায় ওরা মারধর করেছে।
এবিভিপির জেলা সহ সভাপতি উৎপল রায় বলেন, লোকসভা ভোটের পর বিভিন্ন কলেজ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মুছে গিয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে এবিভিপি ইউনিটে যোগ দিচ্ছেন। কলেজ দখল নেওয়ার লক্ষ্যে এদিন শাসকদলের দুষ্কৃতীরা কলেজে ঢুকে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও এবিভিপি কর্মীদের উপর চরম অত্যাচার চালায়। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে বোমা ও গুলি ছোঁড়া হয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বাণীব্রত চক্রবর্তী বলেন, লোকসভা ভোটের পর থেকেই এবিভিপি ওই কলেজে চরম অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। ইউনিয়ন রুম ও কলেজ রুমে আমাদের সংগঠনের ছাত্রছাত্রীদের মতো সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরও ঢুকতে দিচ্ছেনা। ২৮ আগস্ট দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এদিন কলেজের গেটে ছাত্রছাত্রীরা পতাকা ও পোস্টার মারছিল। তখন বিজেপির বহিরাগতরা মেয়েদের কটূক্তি করার পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধর করে। এর প্রতিবাদে আমাদের কর্মীরা জড়ো হলে ওদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সেই সময় ওরা বোমা ও গুলি চালিয়েছে।