কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কমিটির সাম্প্রতিক রায়ের প্রতিলিপি থেকে জানা গিয়েছে, এমপিএস গোষ্ঠীর বিপুল অস্থাবর সম্পত্তি লেকটাউনের একটি ঠিকানায় রাখা হয়েছে। সংস্থাটির তিনটি ঠিকানা থেকে সেগুলি সংগৃহীত। যা নিলামের জন্য রাখা আছে। ওদিকে সংস্থাটির তিনটি বাড়ি নিলাম হয়েছে। কিন্তু, আসবাবগুলি সেখানে থেকে যাওয়ায় বাড়িগুলি হস্তান্তরিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় আসবাবের নিলাম করার জন্য একটি প্রখ্যাত সংস্থাকে কমিটি দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু, কাজটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় বিক্রি হওয়া স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়াও থমকে রয়েছে।
কমিটির নথি অনুযায়ী এমপিএস-এর শাখা সংস্থা ‘আই ভিশন’-এর নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৮ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তা কমিটির অ্যাকাউন্টে এনে প্রতারিতদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যাবে। কিন্তু, এমপিএস-এর ঝাড়গ্রামে থাকা প্রায় ৬০০ একরের সম্পত্তি থেকে প্রচুর মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। যা নিয়ে কমিটি রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অভিযোগ, সম্পত্তির নথি তৈরি করা হলেও, সেগুলি ধারাবাহিকভাবে চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় থানাকে জানালেও সুরাহা হচ্ছে না। প্রশাসনের উচ্চস্তরে জানিয়েও লাভ হয়নি। যা নিয়ে বিচারপতি তালুকদার ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন।
হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে কমিটির ওয়েবসাইটও ঠিকঠাক কাজ করছে না। যে কারণে বিএসএনএল-এর বদলে অ্যালায়েন্স ব্রড ব্যান্ডকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমপিএস-এর লেকটাউনের এক ঠিকানায় বিপুল পরিমাণ নথিপত্র পড়ে রয়েছে। কমিটির জিজ্ঞাসার জবাবে সিবিআই জানিয়েছে, সেগুলি অপ্রয়োজনীয়। কিন্তু, সেগুলি কোথায় সরানো হবে, তা নিয়ে কমিটির মাথাব্যথা বেড়েছে। কারণ, সব নথি এখনই নষ্ট করা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।
এই অবস্থায় বিচারপতি তালুকদার লিখেছেন, যে কারণে, যাঁদের জন্য এই কমিটি তৈরি হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে সম্ভবত সুবিচার করা যাচ্ছে না। তাই কমিটির দায়িত্ব বহন করে চলা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে তিনি অভিমত দিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কমিটির সঙ্গে সম্পর্কিত আইনজীবীদের বিষয়টি হাইকোর্টকে জানানোর অনুরোধও করেছেন।