বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কামারহাটি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ছোট ছাইমাঠ এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি দীর্ঘদিন ধরেই হচ্ছে। সবুজ রঙের পিলার বক্স থেকে তারের সংযোগ থেকে নিয়ে এলাকার ৫০টির বেশি বাড়ি বিদ্যুৎ চুরি করছিল বলে অভিযোগ। এই বিদ্যুৎ চুরির খবর কলকাতা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশনের কাছেও আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিদ্যুৎ চুরি রুখতে পিলার বক্স বদল করতে ছোট ছাইমাঠ এলাকায় যান বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। সবুজ রঙের পিলার বক্সের বদলে নীল রঙের অত্যাধুনিক বক্স লাগানো হয়। যার সহজে ঢাকনা খোলা যাবে না। এবং বিদ্যুৎ চুরি করা যাবে না। বক্স বদল করার পরেই এলাকার কিছু লোকজন বিদ্যুৎ কর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ধাক্কাধাক্কি দিয়ে নিগ্রহ করা হয়। পুলিস বিদ্যুৎ কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। রাতেই নতুন ওই নতুন পিলার বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে।
সিইএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দেখা যায় ওই পিলার বক্স গ্যাস কাটার দিয়ে ভাঙা হয়েছে। ওই বক্স থেকেই তারের কানেশন নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিদ্যুৎ চুরির কাজে দুই পাণ্ডা রয়েছে। তারা হল অন্নু ও চেলুয়া। তাদের বাড়ি ছোট ছাইমাঠ এলাকাতেই। যারা বিদ্যুৎ চুরি করে এলাকার ৫০টির বেশি বাড়িতে সাপ্লাই দেয়। প্রতি বাড়ির কাছ থেকে মাসে ২০০ বা ৩০০ টাকা নেয়। মাস শেষে তারা হাজার হাজার টাকা উপার্জন করে। ওই দুই পাণ্ডার নামে বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সিইএসসি। যারা চুরি হওয়া বিদ্যুতের সংযোগ নিত, তাদের নামও সংগ্রহ করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা।
সিইএসসি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পিলার বক্স থেকে যেভাবে তার বিপজ্জনকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ চুরিতে যুক্ত দুই পাণ্ডার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বেলঘরিয়া থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।