বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই যুবক রুমাল দিয়ে ঠোঁটের নীচে চেপে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন, আবার চীনা মাঞ্জার কবলে পড়েছেন বাইকচালক। তাঁর থুতনির অনেকটাই কেটে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের এক সার্জেন্ট চলে আসেন। তিনি তাঁকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত এক দেড় বছরে এই চীনা মাঞ্জার কবলে পড়েছেন বহু বাইকচালক। বাদ যাননি পুলিস সার্জেন্ট থেকে একরত্তি মেয়েও। কিন্তু তারপরেও কেন এত ঠুনকো নজরদারি, এই প্রশ্ন তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। মা উড়ালপুলের দু’ধারে লোহার জাল লাগানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রতিবারই ঘটনার পর এব্যাপারে পুলিস আশ্বস্ত করে। কিন্ত তারপর পরিস্থিতি একই রয়ে যায়। কেন চীনা মাঞ্জায় রাশ টানা যাচ্ছে না, কেনই বা ধরপাকড় করা হচ্ছে না, তা নিয়েই ক্ষোভ নিত্যযাত্রীদের সিংহভাগের। তাঁরা এও বলেন, দিনে দিনে ঘুড়ির সুতো যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিস কেএমডিএ’কে চিঠি দিয়েছে, মাঞ্জার বিপদ কমাতে মা উড়ালপুলের দু’ধারে লোহার তার লাগানোর জন্য।
মাঞ্জা দেওয়া ছুরির মতো ধারালো সুতোয় আগেও একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে এই উ়ড়ালপুলেই। অথচ, তৎপরতা সেই তিমিরেই। পার্ক সার্কাস, তপসিয়া, ট্যাংরা সহ ইএম বাইপাস লাগোয়া কয়েকটি তল্লাটে প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা বিক্রি হয়। সেই সুতো নিয়েই ঘুড়ি ওড়ান অনেকে। তার থেকেই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। এই এলাকাগুলিতে টানা নজরদারি ও অভিযান চালালেই চীনা মাঞ্জায় রাশ টানা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পরিবেশকর্মীরা।