নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ট্রাক ধর্মঘটের জেরে মঙ্গলবার বড়বাজার ও পোস্তায় ব্যবসায়িক কাজকর্ম বেহাল হয়ে পড়ে। ছ’দফা দাবিতে রাজ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের ট্রাক ধর্মঘট। এদিন পোস্তা পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন পণ্যবাহী লরি ও ট্রাক। আর পাঁচটা দিনে এই পাইকারি বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন চূড়ান্ত ব্যস্ততা দেখা যায়, এদিন সেই ছবি দেখা যায়নি। বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দোকানগুলি খোলা থাকলেও সেখানে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম। ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, লরি-ট্রাক যদি বন্ধ থাকে, তাহলে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী কীভাবে যাবে? অনেকেই ব্যবসার খাতিরে কাজ চালানোর মতো কিছু জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যেখানে বড় অর্ডার রয়েছে, সেসব মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে দোকানে। তা বিভিন্ন জেলায় যেতে পারছে না ট্রাক ধর্মঘটের জেরে। ব্যবসায়ী রমেশ সাউয়ের বক্তব্য, আর ক’দিন এভাবে চললে অবস্থা খুবই খারাপ আকার নেবে। বড়বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বলেন, ট্রাক, লরি করে প্রতিদিন মালপত্র জেলায় জেলায় যায়। কিন্তু সোমবার থেকে সমস্যা হচ্ছে। বড়বাজারের পণ্ডিত পুরুষোত্তম রায় স্ট্রিটের দুই ব্যবসায়ী সমীরণ পাল ও সন্দীপ পালের বক্তব্য, আমাদের প্রতিমা তৈরির রং সহ বিভিন্ন জিনিস রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। অনেকেই ফোনে মালপত্রের অর্ডার দিচ্ছেন। কিন্তু সেসব পাঠাতে পারছি না।
দি পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আগরওয়াল বলেন, সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হোক। আমরা চাই না সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ুন। অন্যদিকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাক ওনার্স কো অর্ডিনেশন কমিটির দুই কর্তা সঞ্জয় উপাধ্যায় ও কৃষ্ণপ্রতাপ সিং বলেন, পণ্যবাহী লরি ও ট্রাককে ঘিরে পুলিসি জুলুম বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আরও পাঁচ দফা দাবির কথাও জানান তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, সরকার ওই দাবি না মানলে ধর্মঘট চলবে।