বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এই ঘটনার পর খুবই খুশি সঞ্জীববাবু। সঞ্জীববাবু বলেছেন, দিদিকে বলোতে ফোন করে এত তাড়াতাড়ি ছেলের চিকিৎসার সুযোগ পাব, তা ভাবতেই পারিনি। আমি ধারদেনা করে ও ঘরে থাকা কিছু সোনার গয়না বন্ধক দিয়ে ২৭ হাজার টাকা জোগাড় করেছিলাম। ওই টাকা দিয়ে ছেলের চিকিৎসা করায়। কিন্তু, এরপর আর টাকা ছিল না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু, তাঁরা কোনও সাহায্য করেনি। এরপর একদিন আমি ছেলের চিকিৎসার জন্য হাওড়া যাই। সেখানে দিদিকে বলো লেখা একটি ব্যানার দেখতে পাই। সেখানে থাকা ফোন নম্বরটি নিয়ে আমি বাড়ি আসি। তারপর সেখানে যোগাযোগ করতেই আমাকে ফোন করা হবে বলে জানানো হয়। এরপর পাঁচদিনের মধ্যে তাঁরা আমাকে কালীঘাটে দিদির বাড়ি যাওয়ার জন্য বলেন। সেইমতো আমি যাই। তাঁরা আমার ছেলের চিকিৎসার কাগজপত্র দেখে সেখানে থাকা অফিসাররা একটি চিঠি লিখে এসএসকেএমের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সেইমতো আমি এসএসকেএমের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করে ওই চিঠি দিই। এরপরই আমার ছেলের চিকিৎসার সমস্ত আয়োজন তারা করে। আজ, বুধবার এমআরআই হবে। এরপর রিপোর্ট পাওয়ার পর ডাক্তাররা দেখবেন ও পরবর্তী চিকিৎসা হবে।
সঞ্জীববাবু বলেন, কয়েকদিন ধরেই আমার ছেলের জ্বর আসছিল। আমি স্থানীয় ডাক্তার দেখাই। কিন্তু, রোগ সারছিল না। এরপর কলকাতায় বড় ডাক্তার দেখাই। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় কিডনি খারাপ। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু, টাকার অভাবে করতে পারছিলাম না। আমি পাঁচলা বিধানসভার মধ্যে থাকি। স্থানীয় জনপ্রতিনিদের কাছে আমি বহুবার গিয়েছিলাম। কিন্তু, তাঁরা আমাকে সাহায্য করেনি। এরপর হাওড়া যাওয়ার পর ওই ব্যানার দেখে ফোন করি। কিন্তু, এত তাড়াতাড়ি তার সুফল পাব, তা আমি ভাবতেও পারিনি। এখন দ্রুত ছেলেকে সুস্থ করাই আমার কাজ। তবে সঞ্জীববাবুর একটি আক্ষেপ থেকে গেল। তিনি বলেন, কালীঘাটে দিদির বাড়ি গিয়েই আমার ছেলের সব চিকিৎসার ব্যবস্থা হল। কিন্তু, আমার আক্ষেপ একবার দিদিকে দেখার সুযোগ পেলাম না। তাহলে দিদিকে একবার প্রণাম করতাম।