গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের টাকি রোডের শোনপুকুর এলাকায় এদিন বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহের কাজ চলছিল। ওই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন। এরপর এলাকায় একটি বেসরকারি হলে বিজেপির সদস্য অভিযান ও বিশেষ কার্যকরী বৈঠকও করেন দিলীপবাবু। ওই বৈঠকে দিলীপবাবু ছাড়াও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ, জোন ইনচার্জ দেবাশিস মিত্র, বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গণেশ ঘোষ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে হাড়োয়া এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা ঢুকতে চান। তাঁর দাবি তিনি বিজেপি নেত্রী। যদিও দলের জেলা নেতারা তাঁকে ওই বৈঠকে ঢুকতে দেয়নি। তাঁদের পাল্টা দাবি, কয়েক মাস আগে সে তৃণমূলে ঢুকেছে। এই নিয়ে প্রথমে সামান্য বাকবিতণ্ডাও হয়।
এরপর দুপুরে দিলীপবাবু সভা শেষ করে বের হওয়ার সময় আচমকা ওই মহিলা হাড়োয়ার এক নির্যাতিতা মহিলাকে নিয়ে দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু তাঁকে বাধা দেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা। এই নিয়ে রাস্তার উপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। উত্তেজনার মধ্যেই নিরাপত্তা কর্মীরা দিলীপবাবুকে গাড়িতে চাপিয়ে বেরিয়ে যান।
ওই মহিলা বলেন, আমি দলের কর্মী। প্রতিবাদ করায় আমাকে তৃণমূল সাজানোর চেষ্টা চলছে। হাড়োয়ার এক বিজেপি কর্মীর মেয়েকে দলের এক নেতা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। তাকে পুলিস গ্রেপ্তারও করেছিল। সে ছাড়া পাওয়ার পর ফের দলের কাজ শুরু করেছে। কিছু লোক পার্টিকে শেষ করে দিতে চাইছে। এই সব বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আমি ওই নির্যাতিতাকে নিয়ে দিলীপবাবুর কাছে এসেছিলাম। উনাকে চিঠি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগে আমাকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। আমার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছি।
দলের বসিরহাট জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, বছর তিনেক আগে উনি আমাদের মৎস্য সেলে ছিলেন। গত কয়েক মাস আগে তিনি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা ধরেছেন। এই তথ্যপ্রমাণ ও ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছেন। উনি এদিন শাসক দলের ইন্ধনে ঝামেলা পাকাতে এসেছিলেন। উনার মূল উদ্দেশ্য ছিল দিলীপবাবু ও আমাকে আক্রমণ করা। উনি দলের কেউ নন। ধর্ষণের অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তা প্রমাণ হবে। তাছাড়া ওই কেসের তদন্ত করছে পুলিস। এক্ষেত্রে দিলীপবাবু কি করতে পারবেন? তা সত্ত্বেও পরিকল্পনা মাফিক উনি ঝামেলা পাকাতে এসেছিলেন।