পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশনের ২নং প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম দিক বরাবর গেলে ঘাটেশর পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীকান্তপুর, মিহিরপুর, নলপুকুর, রামজীবনপুর, বৈদ্যপুর, নবপল্লি এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের বাস। ফি বছর বৃষ্টি হলেই কোমর সমান জল জমে এই সব এলাকায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু বৃষ্টির জমা জল নয়, স্টেশনের বাথরুমের জল, সেপটিক ট্যাঙ্কের নোংরা জল নর্দমার মাধ্যমে এসে প্লাবিত করছে এলাকাকে। এর ফলে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। দুর্গন্ধে ভরা ওই জল ঘরে ঘরে ঢুকেছে। বাড়ছে মশা সহ কীটপতঙ্গের উপদ্রব। পানীয় জলের কলও জলের তলায় চলে গিয়েছে। রাস্তায় কোমর সমান জল। এলাকার ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যেতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জিত বাহাদুর বলেন, ১৫ বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। লক্ষ্মীকান্তপুরের স্টেশন ম্যানেজার থেকে শুরু করে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বার বার জানালো হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। শিশু-কিশোররা নোংরা জল এড়াতে ভেলা বানিয়ে চলাচল করছে। জল বের হওয়ার কোনও পথ নেই। এদিন সকালে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে এনিয়ে রেলের আধিকারিকদের কথা হয়। কয়েকশো মহিলা সমস্যার কথা জানাতে হাজির হন স্টেশনে। লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন অফিসে আলোচনায় বসেন মথুরাপুরের সাংসদের প্রতিনিধি অলোক ভট্টাচার্য, ঘাটেশর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পুলক ভট্টাচার্য, মন্দিরবাজার ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ দাশগুপ্ত, বারুইপুর জিআরপি’র ওসি, বারুইপুর আরপিএফের আধিকারিকরা। ছিলেন লক্ষ্মীকান্তপুরের স্টেশন মাস্টার প্রশান্ত মারিক ও রেলের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিনীত ভগৎ। এই প্রসঙ্গে পুলক ভট্টাচার্য বলেন, জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা বারে বারে ডিআরএম থেকে শুরু করে সব পক্ষকেই জানিয়েছি। জানানো হয়েছিল মন্দিরবাজার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ডায়মন্ডহারবারের মহকুমা শাসক এমনকী জেলাশাসককেও। তাঁরা পরিদর্শনে এসেছিলেন। আমরা রেলকে বলেছিলাম, ২নং প্ল্যাটফর্মের পূর্বদিকে পুরনো কেবিন অফিসের কাছে ও ঘাটেশর রেলগেটের দক্ষিণ দিকে একটি কালভার্ট নির্মাণ করতে। এই দুটি নির্মাণ হলেই জমা জল নয়ানজুলির মাধ্যমে বেরিয়ে ঘাটেশর খালে গিয়ে পড়বে। কিন্তু, রেল সেই অনুমতি দেয়নি। এদিনও বৈঠকে এই দাবির কথা রেলকে জানানো হয়েছে। অলোক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা রেলকে নিকাশি খাল কেটে সংস্কারের কথাও জানিয়েছি। যা পঞ্চায়েত থেকে ১০০ দিনের কাজ থেকে আমরাই করে দেব। আপাতত আলোচনার পর আংশিক সমাধান হিসেবে কিছু অংশ কেটে নয়ানজুলির মাধ্যমে জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে রেলের ডিআরএমের কাছে কালভার্ট নির্মাণের নকশা বানিয়ে পাঠানো হবে। যাতে জলের সমস্যা থেকে মানুষ মুক্তি পায়। লক্ষ্মীকান্তপুরের স্টেশন মাস্টার প্রশান্ত মারিক বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে।