কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চড়িয়াল খালের মুখ বোজানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ১২৪ নম্বরের পূর্বাসন খালপাড় সংলগ্ন বাসিন্দারা। সেখানে জল উপছে বাড়ি ও একাধিক আবাসনের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। নিকাশির নোংরা জলে রিজার্ভার ডুবেছে। এ নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে খালের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খালের মুখ কাটার দাবি জানানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, নাগরিকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই চড়িয়াল খালের মুখ বোঁজানোর মতো কাজ করেছে পুরসভা। শুধু তাই নয়, টালিনালা দিয়ে টালিগঞ্জ ও সংলগ্ন এলাকার যে জল বের হতো, সেই জল বড় পাইপ বসিয়ে চড়িয়াল খালে এনে ফেলা হয়েছে। যা কোনও ভাবে করা উচিত হয়নি। এরফলে চড়িয়াল খালের জলধারণ ক্ষমতা অনেক কমে গিয়েছে। এই বর্ষায় কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেই কারণে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এটা যে সঠিক ওই তল্লাটে ঘুরে টের পাওয়া গিয়েছে। বিশেষ করে রামকৃষ্ণনগর, দাসপাড়া, শান্তশ্রী পল্লি, দুলেরবাগান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোড, পূর্বাচল, মাঝিপাড়া, অরবিন্দনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় নিকাশি দিয়ে জল বেরতে পারছে না। তা উপছে রাস্তা থেকে অলিগলিতে বেরিয়ে এসেছে। ওই সব পাড়ায় ঘোরার সময় নজরে পড়ল একাধিক ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। কোনও কোনও গৃহস্থ খাটে রান্নার আয়োজন করেছেন। পানীয় জলের জন্য কোথায় যাবেন, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। যদিও পুরসভা থেকে গাড়ি পাঠিয়ে জল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা ছিল কম। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, খালের মুখ বোঁজানোটা সঠিক হয়নি। তিনি এ ব্যাপারে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দোষারোপ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এজন্য নাগরিকদের কাছে গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে। তবে লোকজনের চাপে চড়িয়াল খালের মুখ থেকে মাটি কাটা হয়েছে বলে ওই নেতার দাবি।