পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবারই ঘটনার খবর পেয়ে প্রসেনজিতের বাবা উত্তম সিন্হা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে আসেন। উত্তমবাবু রাজ্য পুলিসের কর্মী। তিনি উত্তর দিনাজপুরে কর্মরত। প্রসেনজিতের কাকা কলকাতা পুলিসের তিন নম্বর ব্যাটেলিয়নের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল। উত্তমবাবু ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগে বলেন, আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে পুলিসের এক কর্মী এবং সেই কর্মীর ভাই প্রায় বিপুল পরিমাণে টাকা নিয়েছিলেন। পুলিসকর্মীর ভাইও পুলিসে চাকরি করেন। সেই টাকা পাওয়ার পর ওই দু’জন আমার ছেলেকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। ছেলে ওঁদের বলেছিল, চাকরি না দিলে টাকা ফিরিয়ে দিন। কিন্তু তাও ফেরত দিচ্ছিলেন না। আমার ছেলে তাদের বলেছিল, টাকা না ফেরত দিলে নবান্নে, লালবাজারে এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ করবে। কিন্তু ওই দুই ভাই আমার ছেলেকে শাসাচ্ছিলেন। পুলিসের কাছে অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৯ আগস্ট প্রসেনজিৎ কলকাতায় আসেন। তিনি মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতেন টাকা চাইতে। তখন তিনি ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস বারাকেই থাকতেন। তবে গত সাত-আটদিন ধরে তিনি আদৌ বারাকে ছিলেন, নাকি অন্য কোথাও, তা নিয়ে মৃতের পরিজনরা প্রশ্ন তুলেছেন। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর এসএসকেএম থেকে ওই যুবকের দেহ তাঁর পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন ওয়াটগঞ্জ থানায় প্রসেনজিৎকে খুন করা হয়েছে বলে উত্তমবাবু অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, ছেলেকে টাকা ফিরিয়ে দিতে বলায় ওকে খুন করা হল।