পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত চার-পাঁচ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় উলুবেড়িয়া কালীনগর আঢ্যি মোড় থেকে মহিষালী হরিসভা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পিচের রাস্তার কাজ শুরু হয়। নতুন এই রাস্তাটির বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেলেও, বর্ষার কারণে পিচের আস্তরণ দেওয়ার কাজ বাকি আছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছিল। শুক্রবার সকালে বহিরা সিং পাড়ার কাছে রাস্তাটির খাল পাড়ের দিকে প্রায় ১০০ ফুট এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দেয়। আর বিকেলে প্রায় ৭০ ফুট রাস্তা ধসে গিয়ে প্রায় তিন ফুট বসে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যদি আরও কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয় এবং ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রাস্তা ধসে যাওয়াই নয় আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
রাস্তা ধসে যাওয়া প্রসঙ্গে বহিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল করণ জানান, খালপাড়ের যে এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং রাস্তা ধসে গিয়েছে সেই জায়গাটি খাঁড়া। পাশাপাশি খালের এই অংশটা গভীরও। তাই এই বিপত্তি। তিনি জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি এলাকার বিধায়ক পুলক রায় সহ সেচদপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তিনি এলাকাবাসীদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন। খালপাড়ের ভাঙন সর্ম্পকে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তারপরেই আমি সেচদপ্তরের আধিকারিকদের ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছি।
সেচ দপ্তরের অফিসাররা জানিয়েছেন, খুব দ্রুত এই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেচদপ্তরের এক অফিসার বলেন, বর্ষায় কোনও জায়গায় ভাঙন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা বালির বস্তা তৈরি করে রেখেছি। আপাতত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে। বর্ষার পর ভালো করে কাজ করা হবে। তবে বর্ষার আগে জেলার সমস্ত বাঁধ পরিদদর্শন করা হয়েছিল। যেগুলি দুর্বল ছিল, সেগুলি মেরামত করা হয়েছে। এই বাঁধটি কেন ভাঙল তা খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আমানত পাড়ায় খাল পাড়ের কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় বাড়ির মালিকরা চিন্তিত। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, উলুবেড়িয়া শহরের আমানত পাড়ার মেদিনীপুর ক্যানেলের পাড় বরাবর ঢালাই রাস্তায় বিরাট ফাটল দেখা দেয়। শুক্রবার ফাটল বাড়তে থাকায় খাল পাড়ের আতঙ্কিত বাসিন্দারা রাতেই বাড়ির জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেন। শনিবার বিকেলে খালের পাড় বরাবর প্রায় ৩০ ফুট এলাকা ধসে চলে যায়। দু’টি বাড়িও ভেঙে যায়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাসউদ্দিন খান। দুর্গতদের অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার সকাল থেকেই সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, ইতিমধ্যেই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। নতুন করে আর বৃষ্টি হয়নি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।