গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন সল্টলেকে ডিডি ব্লক, এলএ ব্লক, করুণাময়ী, জলবায়ুবিহার থেকে জল নেমে গিয়েছে। তবে এখনও জল জমে রয়েছে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর, সুলুঙ্গুড়ি, বিধাননগর পুরসভা এলাকার জ্যাংড়া, নারায়ণপুরে। চিনারপার্কে রাস্তার একদিকে জল রয়েছে। আর একদিকের জল নেমে গিয়েছে। তবে সার্ভিস রোডে জল জমে রয়েছে। হলদিরামে জল জমে আছে। সুকান্তনগর, কেষ্টপুর, বাগুইআটির কিছু কিছু পকেটে জল জমে রয়েছে। নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরে এদিনও জল থইথই অবস্থা। সেখানে এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। হিডকো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোলরুম থেকে নজরদারির পাশাপাশি, বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত পাম্প চালানো হয়েছে। হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, বাগজোলা ক্যানেলে জল ছাপিয়ে যাওয়ায় জল নামতে দেরি হয়। ঘুণী ক্যানেলে নজর রাখা হয়েছে। ইকো পার্কেও পরিস্থিতি ঠিক রয়েছে। আমাদের ৪১টি পাম্প নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে। সেক্টর ফাইভে জল নেমে গিয়েছে। তবে সেখানে জল জমে রাস্তার হাল খারাপ হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। বিধাননগরে কোথাও সেভাবে জল জমে নেই বলে এদিন জানিয়েছেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, বিভিন্ন জায়গায় ৭৭টি পাম্প চালিয়ে জল বের করার কাজ চলেছে।
তবে বিধাননগর পুরসভা এলাকার ঝিলবাগানের অনেক বাসিন্দা এখনও বানভাসি অবস্থায় রয়েছেন। ঝাঁ চকচকে আবাসনে উন্নতমানের জীবনযাপন করলেও, বর্ষায় ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় কলকাতায় আত্মীয়দের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন অনেকেই। স্কুলে জল ঢুকে যাওয়ায় ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে জমা জলে শটসার্কিটের ভয়ে আগেভাগেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছেন। রাস্তায় প্রায় হাঁটুর সমান জল পেরিয়ে অন্তত ৫০০ মিটার যাওয়ার পর মূল রাস্তার খোঁজ মেলে। শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্দশায় রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই এলাকার হাজারেরও বেশি বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা মনোজিৎ সিনহা জানালেন, আমরা এই এলাকায় ১৯৮৫ সাল থেকে রয়েছি। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পূর্বাচল কো অপারেটিভের চেয়ারম্যান রবীন চক্রবর্তী এলাকার বিভিন্ন বাড়ি দেখিয়ে জানালেন, বহু বছর ধরে এই অবস্থা। প্রায় সব বাড়ির নীচেই জল ঢুকেছে। পুরসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলার গীতা সর্দার জানিয়েছেন, এই ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে ২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের জলও পাশ হয়। ওই জল গিয়ে পড়ে সুলুঙ্গুরি চ্যানেলে। যে জন্য এখানে জলের চাপ বেশি থাকে। এখানে অতিরিক্ত পাম্প চালিয়ে জল বের করা মুশকিল হয়। কারণ জল পাম্প করে ফেলার জায়গা নেই। তবু আমরা অতিরিক্ত পাম্প চালিয়েছি। এছাড়া সুভাষপল্লি, অরুণাচল এলাকাতে এই সমস্যা দীর্ঘদিনের।
এদিকে, এদিন নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরে জমা জলের দুর্ভোগের পরিস্থিতি দেখতে সেখানে যান বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলা সভাপতি কিশোর কর ও প্রাক্তন সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। কিশোর কর জানান, গৌরাঙ্গনগরে দেখলাম জলে জলাকার হয়ে আছে। ৩০-৪০ বছর ধরে এই এলাকার এরকম অবস্থা। আমরা হিডকোর ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে দেখা করে নিকাশির সমাধানে এখানে বিকল্প খাল কাটার প্রাস্তাব দেব। উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় সেভাবে কোথাও জল জমে নেই বলে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।