নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: আজ, সোমবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে জেলার সমস্ত সংসদ সদস্য, বিধায়ক, জেলা পরিষদের কর্তারা ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা উপস্থিত থাকবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে এর আগের প্রশাসনিক বৈঠকে আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, এবার রবিবার জেলাশাসকের দপ্তর থেকে বিশেষ দূত মারফৎ তাঁর কাছেও আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে। তাই তিনিও এই সভায় হাজির থাকবেন বলে রবিবার বিকেলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শুক্রবারও নবান্নে হাওড়ার বেশ কয়েকটি শিল্পতালুকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অসিতবাবু উপস্থিত ছিলেন। অসিতবাবু বলেছেন, এর আগে আমাদের ডাকা হয়নি। এখন আমাদের ডেকেছে। এলাকার উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী আসছেন। আমার বলার সুযোগ হলে, এলাকার উন্নয়নের জন্য তাঁর কাছে বলব। এদিনের বৈঠক নিয়ে জেলা প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা তুঙ্গে। কারণ, এর আগের প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা নিয়েই চিন্তিত সকলে।
আজ বেলা ১২টায় হাওড়ার শরৎ সদনে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক গত শুক্রবার সমস্ত দপ্তরের অফিসার, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই প্রতিটি দপ্তরের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজখবর তিনি নিয়েছেন। হাওড়া জেলার সাঁকরাইল, ডোমজুড় ও রানিহাটি এলাকায় শিল্পতালুকের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। সেইমতো পঞ্চায়েত সমিতি জমি চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি ব্লকেই জমি চিহ্নিত করার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম ওই জমি কিনে তা শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেবে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিতে পারেন বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। এছাড়াও বর্ষায় নদীবাঁধের অবস্থা কেমন তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নিতে পারেন। নিম্নচাপ ঝাড়খণ্ড উপকূলে চলে যাওয়ায় সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে ডিভিসি প্রতি বছর বেশি পরিমাণ জল ছাড়ে। তার ফলে বর্ধমান, হুগলি ও হাওড়ার একটি অংশ প্লাবিত হয়। এবার কী পরিস্থিতি আছে, সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেচদপ্তরের অফিসারদের কাছে খোঁজখবর নিতে পারেন বলে অনেকেই মনে করছেন।