পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বাগুইআটির রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা অজয় বেরা এদিন বাড়িতে বিদ্যুতের ইনভার্টার মেরামত করছিলেন। তাঁর বাড়ির উঠোন, মেঝেতে জল জমেছিল। সেই সময় কোনওভাবে জলের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ হয়ে যায় এবং সেখানেই তড়িদাহত হয়ে মারা যান পেশায় শিক্ষক অজয়বাবু। একবালপুর লেনের বাসিন্দা রাজা মল্লিক (২৮) এদিন বিদ্যুতের একটি পোস্টে তড়িদাহত হয়ে মারা যান।
এত পরিমাণ বৃষ্টি হলে যে জল জমবেই, সে কথা আগেভাগে স্বীকার করে নেয় পুরসভা। কিন্তু জল তাড়াতাড়ি নেমে যাবে বলে যে দাবি করা হয়, তা বহুলাংশেই বাস্তবের সঙ্গে মেলেনি বলেই অভিজ্ঞতা নাগরিকদের। শ্যামবাজার, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, উল্টোডাঙা আন্ডারপাস, মধ্য কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, কলেজ স্ট্রিট, দক্ষিণে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, দক্ষিণ শহরতলির বেহালা-ঠাকুরপুকুর, ই এম বাইপাস লাগোয়া বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে। বেহালাতে কয়েকটি জায়গায় রাস্তায় নৌকাও চালানো হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম সকাল থেকেই পরিস্থিতির তত্ত্বাবধানে রাস্তায় নামেন। তিনি পাঁচটি পাম্পিং স্টেশন ঘুরে দেখেন। নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, সব পাম্পিং স্টেশন স্বাভাবিকভাবে চলছে। জল অনেক জায়গায় নেমে গিয়েছে। তবে এদিন সন্ধ্যায়ও আমহার্স্ট স্ট্রিট, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডের একাংশ, বীরেন রায় রোড (পশ্চিম), ক্যামাক স্ট্রিট এবং পার্ক স্ট্রিটের কিছু অংশে জল জমে থাকতে দেখা যায়। দক্ষিণ-পূর্বে মুকুন্দপুর, যাদবপুরের কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে।
ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। লাইন ও কারশেডে জল জমায় একাধিক ট্রেন বাতিল করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বিমানবন্দরের রানওয়ে এবং ট্যাক্সিওয়েতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিমান চলাচলে প্রভাব পড়েছে। বিমান ওঠানামায় দেরি হয়। তবে এই ভারী বৃষ্টির কারণে কলকাতায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ। সমগ্র দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে যা কমে ৩১ শতাংশে ঠেকেছে।