বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মামলার সরকারি আইনজীবী মহম্মদ মুসা বলেন, সীমা বক্সির নির্দেশেই তার সম্পর্কিত ভাই পার্থ ওরফে নাটু জয়ন্তবাবুকে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে খুন করেছিল। পারিবারিক অশান্তির জেরেই ওই ঘটনা ঘটে। নানান তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে সীমা বক্সি ও নাটুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবু ও সীমার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতেই সীমা ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে যায়। সেই সময়েই ১৫ সেপ্টেম্বর জয়ন্তবাবু সম্পর্কিত শ্যালক নাটু তাঁকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপরে তিনি আর ফেরেননি। পরদিন স্থানীয় একটি ভেড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ মেলে। পুলিস তদন্তে নেমে প্রথমেই নাটুকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জয়ন্তবাবুর স্ত্রীর ভূমিকা প্রকাশ্যে আসে। পুলিস জানতে পারে পারিবারিক বিবাদের কারণে জয়ন্তবাবুকে খুনের ছক কষেছিল স্ত্রী। সম্পর্কিত ভাইকে দিয়ে সেই খুন করায়। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগে পুলিস তাকেও গ্রেপ্তার করে। ২০১৫ সাল থেকে সেই মামলাই চলছিল। মাঝে মৃতের স্ত্রী জামিন পেলেও নাটু জেল হেপাজতেই ছিল। এদিন বিচারক দু’জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পরে সীমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।