হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, রাত থেকে তুমুল বৃষ্টির কারণে পুরএলাকায় জল জমে গিয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা পাম্প ব্যবহার করে জল নামিয়ে দিয়েছি। বিকালের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, জেলার গ্রামীণ কোথাও খুব বিরাট পরিমাণ জল জমে গিয়েছিল এমন খবর পাইনি। তবে রেল স্টেশন লাগোয়া কিছু এলাকায় জল জমার কারণে যাত্রীদের সমস্যা হয়েছে। বিজেপি’র এসসি, এসটি সেলের রাজ্য সভাপতি স্বপন পাল বলেন, গোটা জেলা জুড়ে অধিকাংশ পুরসভার বাসিন্দাদের এদিন ভোগান্তি হয়েছে। পুর পরিষেবার বেহাল অবস্থা মানুষ সচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা চললেও উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষকরা কিছুই কাজ করে না।
শুক্রবার রাত থেকে হুগলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। রাতে দেদার বৃষ্টির পরে শনিবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির দাপট দেখা গিয়েছে। আর এরই জেরে হুগলির একাধিক পুরসভা এলাকায় জল জমে গিয়ে আমজনতাকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই উত্তরপাড়া পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দুপুরে বৃষ্টি থামার পরেও এই পুর এলাকা থেকে জল নামেনি। পুরপ্রধান এলাকা পরিদর্শনের পর কিছু জায়গায় পাম্প দিয়ে জল বের করা হয়। তারপরেও সন্ধ্যে পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই জল নামেনি। শ্রীরামপুর পুরসভার আন্ডারপাস সহ একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছিল। আন্ডারপাসে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেনলাইন পার করেই ঝুঁকি নিয়ে বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হয়েছে। চন্দননগর, বৈদ্যবাটি, ভদ্রেশ্বর পুরসভার কিছু এলাকায় জল জমে সকালের দিকে সমস্যা হলেও পরে তা নেমে যায়। ব্যান্ডেল, ডানকুনি, চুঁচুড়া সহ একাধিক এলাকায় স্টেশন সংলগ্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় রেলযাত্রী থেকে বাসিন্দাদের যাতায়তের সমস্যা হয়েছে। জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিরও অনেক জায়গায় এদিন জল জমার জেরে বাসিন্দাদের ভোগান্তি হয়েছে।