রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত দপ্তরের কাজকর্মের হিসেব নেন দপ্তরের অফিসারদের কাছে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এই বৈঠক বলে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন। গত বছর জুন মাসে হাওড়া পুরসভা এলাকায় জল জমা বন্ধ করতে গঙ্গার মুখে লকগেট করার পরিকল্পনার কথা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। সেইমতো তিনি সেচ দপ্তরকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু, এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ওই লকগেট তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। তার ফলে শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টিতেই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। এছাড়া হাওড়া পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলী গঠনের পর কাজ কেমন হচ্ছে, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিতে পারেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীকালের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কোন কোন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন, তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কোন দপ্তরের কাজ কী হয়েছে, বন্যা প্রতিরোধে নদী বাঁধগুলির অবস্থা কী তা নিয়ে সেচ দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গেও জেলাশাসকের কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেছেন, মূলত হাওড়া পুরসভায় কী কী কাজ হচ্ছে, জেলার নদী বাঁধগুলির অবস্থা ও বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর করতে পারেন। ইতিমধ্যেই শুক্রবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে সাঁকরাইল, ডোমজুড় ও ধূলাগড় থানাকে হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের মধ্যে আনা হবে। এদিনের বৈঠকে এই নিয়েও আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া সাঁকরাইল, ডোমজুড়, অঙ্কুরহাটি, ও রানিহাটি এলাকায় শিল্প তালুকের কথা শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছেন। তার কাজ যাতে দ্রুত হয়, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন।
একইভাবে আগামী বছর রাজ্যের আরও কিছু পুরসভার সঙ্গে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন করার কথা আছে। তার আগে শহরের পরিষেবা যাতে ঠিক থাকে, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কিছু দিক নির্দেশ করতে পারেন বলে পুরসভার কর্তারা মনে করছেন। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে পুরসভা কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ করতে পারেন বলে পুরসভার কর্তারা মনে করছেন। যদিও শুক্রবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দু’দিন আগে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে আছে। রবিবারের মধ্যে বৃষ্টি না কমলে জল নামার সম্ভাবনা কম বলেই পুরসভার কর্তারা মনে করছেন। তাই সোমবার বৈঠকে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন তার দিকেই নজর রয়েছে শহরের বাসিন্দাদের।