কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দেবাশিসবাবুর পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ পানশালার কর্মী শামসের সহ দু’দন ট্যাক্সি করে সংজ্ঞাহীন দেবাশিসবাবুকে তাঁর বরানগরের কুটিঘাটের বাড়িতে পৌঁছতে যান। তাঁরা দাবি করেন, দেবাশিসবাবু পানশালার বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দুই কর্মীর কথাবার্তা ও আচরণে অসঙ্গতি থাকায় তাঁদের আটকে রেখে বরানগর থানায় খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস আসার আগে একজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিস এসে দেবাশিসবাবুকে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এই রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে বউবাজার থানার পুলিস পানশালার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা ১ মিনিটে দেবাশিসবাবু একাই বাথরুমে ঢুকছেন। এরপর রাত ৮টা ৩ মিনিটে পানশালার এক কাস্টমার বাথরুম থেকে চিৎকার করে বেরিয়ে আসছেন। তারপরই জানা যায়, দেবাশিসবাবু বাথরুমে পড়ে আছেন।
তদন্তে নেমে শামসের সহ ওই পানশালার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, প্রথমে পানশালার কর্মী শামসেরকে দিয়ে ট্যাক্সিতে করে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় দেবাশিসবাবুকে। কিন্তু সেখানে ট্যাক্সি থেকে দেবাশিসবাবুকে স্ট্রেচারে নামানোর সময় কয়েকজন শামসেরকে বলেন, দেবাশিসবাবু মারা গিয়েছেন। পুলিসি ঝামেলার ভয়ে ঘাবড়ে যান শামসের। ফের দেবাশিসবাবুকে ট্যাক্সিতে চাপিয়ে পানশালায় ফেরত নিয়ে আসেন তিনি। এরপর পানশালা থেকে আরও এক কর্মীকে নিয়ে তাঁরা বরানগরে যান।
বরানগরের কুটিঘাটের বাসিন্দা দেবাশিসবাবু প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই পানশালায় বার টেন্ডারের কাজ করতেন। তার বাড়িতে স্ত্রী সুজাতা ছাড়াও ছেলে দেবাংশু রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই রহস্যমৃত্যুর পর গোটা এলাকায় শোকের আবহ নেমে আসে। দেবাশিসবাবুর ভাগ্নে তাপস ভড়ের অভিযোগ, মামার এই মৃত্যুর পিছনে রহস্য আছে। আমরা মামার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই। কেউ এই ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকলে, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।