পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুকান্তনগরের ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা থেকে সম্প্রতি বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা চেয়ার, টেবিল, টুল এমনকী একটি আস্ত ডাইনিং টেবিলের অংশ বিশেষও উদ্ধার করেছে। কিন্তু, সেগুলি কীভাবে সেখানে ঢুকল? সেই উত্তর পুরসভার কারও কাছেই নেই। এক পুরকর্মীর কথায়, চেয়ার এবং টুলগুলি প্রায় গোটাই ছিল। ডাইনিং টেবিলটা অবশ্য ভাঙাচোরা। তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর আগে চিনার পার্কের কাছে এরকমই একটি বড় ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালা থেকে একটি সোফা সেটও উদ্ধার করা হয়েছিল। এত বড় বড় সামগ্রী বাসিন্দারা কীভাবে নিকাশি নালায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তা ভেবে বেশ হতবাকই পুরকর্তারা। বিধাননগর পুরসভার নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি খালের পাড়ে এরকম বহু সামগ্রী ফেলে যান বাসিন্দারা। সেগুলি পুরসভা মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করে দেয়। কিন্তু, ভূগর্ভস্থ নিকাশি নালাতেও এবার এরকম সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে।
কে বা কারা এগুলি সেখানে ফেলে দিয়েছে, সেই উত্তর কারও কাছেই নেই। তাই আপাতত সেগুলি পরিষ্কার করা ছাড়া পুরসভার কাছে কোনও উপায়ও নেই। তবে শুধুমাত্র এই চেয়ার, টেবিল নয় আরও একটি বিষয় উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে পুরকর্তাদের। সম্প্রতি সুকান্তনগরের ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা থেকে প্রায় তিন লরি শুধুমাত্র প্লাস্টিকের বোতল উদ্ধার করেছে পুরসভা। এছাড়াও আরও অন্তত সাত-দশ লরি শুধু পলি মাটি উদ্ধার করা হয়েছে ওই নিকাশি ব্যবস্থা থেকে।
পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই সল্টলেক বাইপাস (বর্তমানে নাম বিশ্ব বাংলা সরণী)-এর পাশে সুকান্তনগরের সার্ভিস রোড প্রতি বর্ষায় হাঁটু জল জমে যায়। এর জেরে এখানকার বাসিন্দাদের খুব সমস্যা হচ্ছিল। এবছর তাই এখানকার ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থাকে বর্ষার আগেই সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো এবছরের একেবারে প্রথম থেকেই দফায় দফায় এখানকার পলি তোলার কাজ শুরু করা হয়। তিনি আরও বলেন, এখানকার সার্ভিস রোডের নীচে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা হিসেবে ১০টি বড় বড় ট্যাঙ্ক রয়েছে। সুকান্তনগর, নাওভাঙা সহ সংলগ্ন এলাকার সমস্ত নিকাশি নালা এই সমস্ত ট্যাঙ্কগুলিতে এসে মিশেছে। সেখান থেকে নিকাশি জল ইস্টার্ন ড্রেনেজ ক্যানালে গিয়ে মেশে। কিন্তু, গত প্রায় ১০ বছরে এখানকার ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়ায়, প্রচুর পলি জমে গিয়েছিল। তাই এই এলাকা প্রতি বর্ষায় জলের তলায় চলে যাচ্ছিল। এই অবস্থা থেকে রেহাই দিতেই এবছর সম্পূর্ণ নিকাশি ব্যবস্থাকে সংস্কার করা হয়েছে। তাতেই এই চিত্র ধরা পড়ে। দেবাশিসবাবু আরও জানিয়েছেন, সুকান্তনগর ছাড়াও এবছর গত কয়েকমাস ধরে সল্টলেক সহ গোটা বিধাননগরের বিভিন্ন জায়গায় নিকাশি নালা থেকে পলি তোলা হয়েছে। তাতে প্রায় প্রতিদিনই দু-তিন লরি করে পলি তোলা হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বোতলও উদ্ধার হয়েছে।