কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পরিস্থিতি এক সময় এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, স্বামীর এই কুকীর্তির কথা কোনওভাবে জেনে যান জয়ন্তীদেবী। বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মাঝে মধ্যে অশান্তিও হয়। তখনই আরও বেশি করে সুরজিৎকে পাওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে ওঠে লিপিকা। সে বোঝাতে থাকে, জয়ন্তী অপয়া। তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলেই সব সমস্যা মিটে যাবে। এরপরই দু’জনে মিলে জয়ন্তীদেবীকে নানাভাবে খুনের ছক কষে। জানা গিয়েছে, বিরাটির বাড়িতে বসেই খুনের ‘মাস্টারপ্ল্যান’ তৈরি হয়। তখন লিপিকা সুরজিৎকে জানায়, খুন করে মৃতদেহ গায়েব করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। তাই সেই মৃতদেহ যদি টুকরো টুকরো করে কোনও কিছুতে ভরে গাড়িভাড়া করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া যায়, তাহলেই সব সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু সুরজিৎ জানায়, স্ত্রীকে মারার পর টুকরো টুকরো করবে কে? তখনই লিপিকা তার প্রেমিক সুরজিৎকে জানায়, তার বাড়ির কাছেই থাকে সঞ্জয় বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। যে মাংস বিক্রি করে। তাকে টাকার লোভ দেখালেই সে এই কাজ করতে পারে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সঞ্জয় মাংস কাটার কাজে ব্যস্ত ছিল। কিন্তু লিপিকা তাকে জরুরি কাজ আছে বলে ডেকে পাঠায় লেকটাউনের বাড়িতে। বলে, আসার সময় যেন মাংস কাটার চপারটি সঙ্গে আনে। সে এসে দেখে সুরজিতের বাড়িতে এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। লিপিকা তখন বলে, এই মৃতদেহটি টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে। সুরজিৎ তাকে জানায়, এই কাজের ইনাম হিসেবে তাকে দেওয়া হবে ১৬ হাজার টাকা। যার অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল চার হাজার টাকা। সেই টাকা পকেটে নিয়ে জয়ন্তীদেবীর মৃতদেহ খণ্ড খণ্ড করতে শুরু করে। পুরো বিষয়টিই যে আগাম ষড়যন্ত্র করে করা হয়েছে, তা উঠে এসেছে রেল পুলিসের তদন্তে। সেই কারণেই শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস ফাঁসির মতো সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন ওই তিনজনকে।