বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ গাঙ্গুলিবাগানের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা পরিচয় জানিয়ে ২১ বছরের ওই প্রসূতি ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন। ডাঃ সীমা সুরানা নামে এক চিকিৎসকের অধীনে তাঁর চেক-আপ চলছিল। তাঁরই অধীনে ভর্তি হন ওই তরুণী। ভর্তির সময় সঙ্গে ছিলেন দীপঙ্কর পাল নামে এক ব্যক্তি। আর ছিলেন তাঁর মা। ভর্তির কাগজপত্রে নিজেকে স্বামী পরিচয় দেন সঙ্গে আসা দীপঙ্কর। যখন প্রসব প্রক্রিয়া চলছে, এমন সময়ে ঘটে চমকপ্রদ ঘটনা। হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন হর্ষ ক্ষেত্রী নামে নিউটাউন-রাজারহাট এলাকার এক বাসিন্দা। বলেন, তিনিই আসল স্বামী। দু’জনের বিয়ের শংসাপত্রও দাখিল করেন। এই বিতর্কের মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি।
জন্ম তো হল, কিন্তু আসল বাবা কে? শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। হর্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’জনেই পুলিসের দ্বারস্থ হয়। মায়ের কেবিনের পাশে নিরাপত্তা রক্ষীদের বসিয়ে, সেখানে সবাইকে ঢুকতে বারণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সন্ধ্যায় এক অন উিউটি মেডিক্যাল অফিসারের উপস্থিতিতে মহিলার বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিস। সেখানে ওই তরুণী দাবি করেন, দীপঙ্কর নন, হর্ষই তাঁর সন্তানের বাবা।
‘লাইভ নাটক’ আরও নাটকীয় মোড় নেয়, যখন প্রদীপ রায় নামে আরও এক ব্যক্তি সোমবার বিয়ের কাগজপত্র এনে পুলিসের কাছে দাবি করেন, দীপঙ্কর বা হর্ষ নন, কন্যার আসল বাবা তিনিই। পুলিস সূত্রের খবর, বয়ানে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি উত্তরপাড়ায়। হর্ষের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু হর্ষের বাড়ি থেকে তা না মানায় তিনি গাঙ্গুলিবাগানে ঘরভাড়া নিয়ে থাকতেন। হর্ষই তাঁর মেয়ের আসল বাবা।