বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৮-’১৯ আর্থিক বর্ষে সারা দেশে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার জন। এর মধ্যে ১০ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। জানা গিয়েছে, পার্কে খেলার সময় বা খেতে কাজ করার সময় মারা যান ৩০ শতাংশ মানুষ। গাছের তলায় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বজ্রাঘাতে মারা যান ৬০ শতাংশ। প্রতি বছর এই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং সেটা কয়েক গুণ হারে। চলতি বছরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার একটি স্কুলে বাজ পড়ে দুজন ছাত্র ও পুরুলিয়া জেলায় ৬ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। বজ্রাঘাতে স্কুল পড়ুয়াদের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক মহল। সূত্রে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৫৪ হাজার, মাধ্যমিক ১৯,২১৭টি ও উচ্চ মাধ্যমিক ৭৮০০টি। জানা গিয়েছে, মোট স্কুলের সংখ্যার মধ্যে পাঁচ শতাংশের কম স্কুলে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে।
বজ্রপাত বিষয় নিয়ে সোদপুরের একটি সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। এই সংস্থার সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা স্কুলে বসাতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। মঙ্গলবার সোদপুর চন্দ্রচূড় বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বজ্রপাত নিয়ে সচেতন করা হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে এতদিন এই ব্যবস্থা ছিল না। প্রধান শিক্ষিকা এবার তা বসাবেন বলে জানিয়েছেন। আলোচনায় উঠে এসেছে, উষ্ণায়নের ফলে দিন দিন বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ছে। বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ দেবদত্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, বজ্রপাতের সংখ্যা কমাতে হলে আমাদের বৃক্ষ নিধন কমাতে হবে। পুকুর বোজানো বন্ধ করতে হবে। নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ দূষণ কমাতে হবে। উষ্ণায়ন যত বাড়বে, ততই বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়বে।
কেন্দ্রীয় সরকারের মৌসম ভবনের অনুমোদিত সংস্থা ক্লাইমেট রিসাইলেন্ট অবজারভিং সিস্টেম প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন সঞ্জয় শ্রীবাস্তব বলেন, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে ১০০ শতাংশ স্কুলে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গে মোট স্কুলের পাঁচ শতাংশের নীচে এই ব্যবস্থা রয়েছে। অথচ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে নির্দেশিকা দিয়ে বলেছে, প্রতিটি স্কুলে এই ব্যবস্থা থাকতে হবে।