গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের ফেসবুকে প্রোফাইল রয়েছে অনেকদিন ধরেই। সেখানে বিভিন্ন পোস্টও করেন মাঝেমধ্যে। সোমবার রাতে নিজের প্রোফাইলে একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। এ জীবন আর ভালো লাগছে না। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের সাইটে পোস্ট হওয়া বিভিন্ন বিষয়ের উপর নজর রাখে। এজন্য তাদের আলাদা ডেটা অ্যানালিসিস ও ইন্টেলিজেন্স টিম রয়েছে। কেউ যদি কোনও আপত্তিকর বা সংবেদনশীল কোনও ভিডিও বা লেখা পোস্ট করেন, সঙ্গে সঙ্গেই তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের নজরে চলে আসে। যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো বা আটকানোই তাদের লক্ষ্য। যুবকের পোস্টটি দেখেই তারা বুঝতে পারে, তিনি অবসাদগ্রস্ত, কোনও ঘটনা ঘটতেই পারে। সঙ্গে সঙ্গেই তারা লালবাজারে ইমেল বিষয়টি জানায়। তাতে বলা হয়, কলকাতার এক যুবক নিজের প্রোফাইলে আত্মহত্যার বার্তা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ফেসবুকে যুবকের সম্বন্ধে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, তা দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসকে। এরপরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
সাইবার সেলের অফিসাররা ফেসবুকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোন মোবাইল থেকে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে, তা বের করেন। এরপর মোবাইলের আইএমআই নম্বর ট্র্যাক করে যুবকের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, তিনি কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয় কসবা থানার সঙ্গে। থানার ওসি টাওয়ার লোকেশন দেখে জায়গা নির্দিষ্ট করেন। তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন যেখানে দেখাচ্ছিল, সেখানে পৌঁছে যান কসবা থানার অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন মনোবিদরা। দেখা যায়, সেটি কোনও বাড়ি নয়। ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই যুবক। থানার অফিসাররা ওই যুবককে চিহ্নিত করেন। এরপর তাঁকে শুরু হয় বোঝানোর পালা। মনোবিদও বোঝান, এই ধরনের ঘটনা তাঁর কাছে প্রত্যাশা করা যায় না। কথায় কথায় ওই যুবক বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। ব্যক্তিগত কারণ ছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যাও রয়েছে তাঁর। কিছুদিন আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এক পরিচিতের বাড়িতে। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর তিনি ফিরে আসেন। অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোর পর শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাড়িতে পাঠাতে সক্ষম হন পুলিস আধিকারিকরা।