কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
২০১৪ সালের ২০ মে সন্ধ্যায় শিয়ালদহ রেল স্টেশনের কার পার্কিংয়ের কাছে একটি ট্রলি ব্যাগ ও একটি লাল রংয়ের লেপে মোড়া কিছু জিনিস দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকতে দেখেন রেল পুলিসের দুই কনস্টেবল। তা খোলা হলে দেখা যায়, লেপের মধ্যে রয়েছে এক মহিলার ধর। আর ট্রলি ব্যাগের মধ্যে আছে তিনটি প্লাস্টিকের প্যাকেট। একটি প্যাকেটে একটি মুণ্ড, বাকি দু’টির একটিতে দু’জোড়া হাত এবং অন্যটিতে দু’জোড়া পা। ট্রলি ব্যাগেই মেলে একটি রসিদ। তাতে একটি মোবাইল ফোনের নম্বর এবং লেকটাউনের একটি বাড়ির ঠিকানা লেখা ছিল। তদন্তে নামে রেল পুলিস। বাড়ির ঠিকানার সূত্র ধরেই পুলিস সুরজিৎ দেবকে গ্রেপ্তার করে। জেরায় ভেঙে পড়ে সে স্বীকার করে, ঘটনার দিন সে এবং প্রেমিকা দু’জনে মিলে প্রথমে ভারী বস্তু দিয়ে স্ত্রী জয়ন্তীকে মাথায় আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বালিস চাপা দিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর রানাঘাটের গাংনাপুরের বাসিন্দা পেশায় মাংস ব্যবসায়ী সঞ্জয়কে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করার জন্য ফোনে ডেকে পাঠানো হয়। এরজন্য ১৬ হাজার টাকা সুপারিও দেওয়া হয়। আসা মাত্রই তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় চার হাজার টাকা। বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে বলে জানায় সুরজিৎ। সাক্ষ্য লোপাটের জন্য মৃতদেহে ঢালা হয় অ্যাসিড। পরে মৃতদেহের খণ্ডাংশগুলি ট্যাক্সি করে শিয়ালদহের কার পার্কিংয়ের কাছে রেখে তারা চম্পট দেয়। তদন্তে জানা যায়, বিরাটিতে একটি বাড়িতে সুরজিৎ বহুবার লিপিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আইনজীবীরা জানান, এই প্রথম শিয়ালদহ কোর্টে ফাঁসির সাজা হল।