গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চন্দ্রযান মিশনের সঙ্গে জড়িত গুড়াপের মহাকাশ বিজ্ঞানী চন্দ্রকান্ত কুমারের বাবা মধুসূদন কুমার বলেন, আগেরবার অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় ছেলেও উদ্বেগে ছিল। দুপুরে ফোন করে বলেছিল টেনশনে আছি, একেবারে রাতে কথা বলব। তাই আমরাও উদ্বেগে ছিলাম। কাউকে কিছু বলতে পারছিলাম না। কিন্তু শুধু প্রার্থনা করে গিয়েছি। এত মানুষের প্রত্যাশার চাপ বড় কম কথা নয়। ছেলেটা দিনরাত এক করে খেটেছে। উদ্বেগ কীভাবে দানা বেঁধে ছিল তা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীর মা অসীমা কুমার। চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের মুহূর্ত তিনি চোখে দেখেননি। কেবল টিভির পর্দার সামনে বসে প্রার্থনা করে গিয়েছেন। নেহাতই গৃহবধূ অসীমাদেবী বলেন, চোখ বন্ধ করে কেবল ঠাকুরকে ডাকছিলাম। যখন সবাই চিৎকার করে উঠল তখন চোখ খুললাম। আর তারপর তো গোটা গ্রামেই প্রায় উৎসব শুরু হয়ে গেল।
এদিন সকাল থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারের কুমারবাড়িতে প্রতিবেশী থেকে গ্রামের মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেছিল। দিনকয়েক আগেই চন্দ্রযান প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার পর এদিন ফের উৎক্ষেপণের নির্ঘণ্ট স্থির হওয়ায় মানুষের উৎসাহ এমনিতেই অন্যমাত্রা পেয়েছিল। আর গ্রামের ছেলের চন্দ্রযান তৈরি করছে সে নিয়ে জমাট আগ্রহ তো ছিলই। কিন্তু চাপা উদ্বেগে ছিলেন চন্দ্রকান্ত কুমারের বাবা ও মা। আগেই একবার প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ায় ছেলের জন্যে উদ্বেগ তো ছিল, উদ্বেগ ছিল দেশের সাফল্য, ব্যর্থতা নিয়েও। তারই মধ্যে ছেলে ফোন করে নিজে থেকেই বলেছিল বড় টেনশনে আছি। যা বৃদ্ধ কুমারদম্পতির চাপ আরও বাড়িতে তোলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রায় তিনটে নাগাদ যখন টিভির পর্দায় উল্লাসের আওয়াজ ওঠে তখনই তা শতগুণে প্রবল করে চিৎকার করে ওঠে শিবপুর গ্রাম। শুরু হয়ে যায় মিষ্টিমুখ থেকে আলিঙ্গন। চন্দ্রকান্তের সফল চন্দ্রাভিযানে ততক্ষণে গুড়াপের এক অখ্যাত গ্রাম ঢুকে পড়েছে দিগন্তপ্রসারী খ্যাতির চন্দ্রচ্ছটায়।