বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন সমাবেশের জন্য স্টেশনের সামনে দু’টি ক্যাম্প খোলা হয়েছিল। একটি থেকে যেমন সমর্থকদের জন্য ক্রমাগত ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই দ্বিতীয় ক্যাম্পটি থেকে অসুস্থ হয়ে পড়া সমর্থকদের ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহের দলীয় ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, স্টেশনে আসা সমর্থকদের ভিড়ের চরিত্রে কোনও বদল নেই। উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ এসেছেন। এবার বহু বাসও ছিল। সমর্থকরা সরাসরি বাসেও সভায় গিয়েছেন।
এদিন সকালের দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে এসেছেন অসংখ্য সমর্থক। ট্রেন থেকে নেমে মিছিল করে স্টেশন থেকে বেরিয়েছেন তাঁরা। তার সঙ্গে ছিল লোকাল ট্রেনে আসা সমর্থকদের ভিড়। সেই ভিড়ে দুই ২৪ পরগনা, নদীয়ার সমর্থকরা তো ছিলেনই, তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য জেলার সমর্থকরাও। স্টেশন থেকে মিছিল করে সভাস্থলের দিকে গিয়েছেন তাঁরা।
এদিন স্টেশন চত্বর থেকে ছাড়া অটো, ট্যাক্সির সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। স্ট্যান্ডে না গিয়ে বহু চালকই স্টেশন চত্বরে অটো-ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে দেখেছিলেন। যানজটের অজুহাত তুলে সুযোগ বুঝে বহু অটোই শাটল গাড়ির মতো ভাড়ায় গিয়েছেন। তেমনই মিটারে না গিয়ে ভাড়া হেঁকেছেন ট্যাক্সিচালকরাও। রবিবার এমনিতেই রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকে। অটো-ট্যাক্সির সঙ্গে এদিন ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল বেসরকারি বাসের সংখ্যাও। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয়। তাতে ছুটির দিন হলেও যাঁরা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন, তাঁরা প্রবল সমস্যায় পড়েন। বাড়তি গাঁটগচ্চা দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাঁদের অনেককে।
শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে কথা হচ্ছিল কয়েকজন বাসকর্মীর সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, রবিবার তো কম বাসই চলে। তার উপরে সভার জন্য অধিকাংশ বাসই ভাড়ায় নেওয়া হয়েছিল। অনেকে আবার যানজটের আশঙ্কায় বাস নামাননি। আবার এটাও ঠিক যে, কর্মীদেরও অনেকে সভায় গিয়েছেন। এসবের জেরেই এদিন বাসের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গিয়েছিল। এদিনের সভার জন্য সমর্থকরা সরকারি বাসও ভাড়ায় নিয়েছিলেন বলে খবর। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ভাড়ায় বাস দেওয়ার প্রভাব নিয়মিত রুটে পড়েনি। তবে, যানজটের জের পড়েছিল পরিষেবায়।