বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সরেজমিনে তদারকি করতে গত শনিবার বিকেলে ধর্মতলার সভামঞ্চে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হবে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রবিবার কম ট্রেন চালাবে বলে ঠিক করেছে রেল। এটা করা ঠিক নয়। সব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি করার অধিকার আছে। আসলে এর পিছনে বিজেপির খেলা আছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বিজেপি বা অন্য দলের মতো গোটা ট্রেন ভাড়া করার ক্ষমতা নেই। তাই দৈনন্দিন ট্রেনের উপর অনেকটা নির্ভর করতে হয়। এদিন জ্যোতিপ্রিয়বাবু অভিযোগ করেন, বারাসত, বনগাঁ এবং গোবরডাঙা থেকে ছাড়া তিনটি শিয়ালদহগামী ট্রেন এদিন চালানো হয়নি।
রেল সূত্রের খবর, রবিবার ছুটির জন্য সাধারণত কাজের দিনের তুলনায় কম ট্রেন চালানো হয়। কিন্তু, রবিবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য ট্রেনে ভিড় বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে দক্ষিণ-পূর্ব রেল কাজের দিনের সূচি মেনেই পরিষেবা দিয়েছে বলে জানিয়েছে। হাওড়া এবং শিয়ালদহ বিভাগে একগুচ্ছ বিশেষ লোকাল ট্রেন চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। এছাড়াও, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের সুবিধার জন্য কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস এবং রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি করে অতিরিক্ত জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস কোচ যুক্ত করা হয়েছিল।
এদিন ভিড় সামাল দিতে মেট্রো রেলের দমদম, চাঁদনিচক, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান সহ একাধিক স্টেশনে বাড়তি কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। সাধারণ কর্মীসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছিল। রবিবার পাতালপথে ১২৪টি ট্রেন চালানো হয়। সেই জায়গায় এদিন অতিরিক্ত তিন জোড়া বেশি ট্রেন চালানো হয়। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩০ হাজার যাত্রী মেট্রোয় সফর করেছেন। সাধারণত রবিবারগুলিতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কমবেশি ১ লক্ষ ৬০ হাজার যাত্রী মেট্রোয় চড়েন।