কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন দুপুরে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, সদ্যোজাত শিশুটি ঘুমোচ্ছে। মা রেখাদেবী তাকে আগলে শুয়ে আছেন। পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্বামী অধীর সরকার এবং তাঁদের সাত বছরের ছেলে। এক সময় সেই শিশু বাবার কোলে উঠে ভালো করে দেখে নেয় ছোট্ট বোনকে। সে বলে, বাবা বোনকে বাড়ি নিয়ে চল। ধর্মতলার সভায় যাওয়ার পথে দ্বিতীয়বার মাতৃত্বের স্বাদ পাওয়া রেখাদেবী লাজুক মুখে বললেন, খুব ভালো লাগছে। কিছুক্ষণ আগেই ও কাঁদছিল। এখন ঘুমোচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা আশীর্বাদ করুন, আমরা যেন ভালোয় ভালোয় ওকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি। এক চিকিৎসক বলেন, শিশুটির ওজন কিছুটা কম থাকায় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমরা চাইছি, মা ও মেয়ের যাবতীয় চিকিৎসা যেন ভালোভাবে হয়। বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায়ের তত্ত্বাবধানে শিশুটিকে বরানগর হাসপাতাল থেকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বরানগর পুরসভার পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক ও কাউন্সিলার অঞ্জন পাল বলেন, শিশু এবং শিশুর মায়ের চিকিৎসা যাতে ভালোভাবে হয়, তার জন্য আমরা দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলেন, এরকম একটি বিশেষ দিনে শিশুটির যে নাম রাখা হয়েছে, তার জন্য ওঁদের আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল রেখাদেবীর স্বামী অধীরবাবুর সঙ্গে। দিনমজুরিই তাঁর পেশা। তিনি বলেন, আট-ন’বছর ধরেই আমি ও আমার স্ত্রী ২১ জুলাইয়ের সভায় আসি। আমরা তৃণমূলের সমর্থক। এই অবস্থায় ওকে আসতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু কথা শোনেনি। ও বলে, আমি বাসেই বসে থাকব। সাড়ে ৯টার পর থেকেই ওর মুখ চোখ লাল হয়ে ওঠে। বাসের মধ্যে কয়েকজন মহিলাকে ও বলে, কোমরে খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। এরপরই চোখে মুখে জল দেওয়া হয়। তারপর বাসেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ওই বাসেই ছিলেন ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী প্রিয়ব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাজে আমরা খুশি।