রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত বাংলা ও অসমে স্টিমার পরিষেবা চালাত মূলত দুটি সংস্থা। ইন্ডিয়া জেনারেল নেভিগেশন অ্যান্ড রেলওয়ে কোম্পানির জন্য ‘পি এস ভূপাল’ স্টিমারটি তৈরি হয়েছিল। গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র প্রভৃতি নদীপথে তাদের স্টিমার চলত। যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ করত লঞ্চগুলি। কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদিত বাষ্প দিয়ে ইঞ্জিন চালানো হতো। এই লঞ্চের বিশেষত্ব হল, দু’দিকে চাকার মতো দেখতে প্যাডেল আছে, যা জল কেটে লঞ্চটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এখন অবশ্য ডিজেলে চলবে লঞ্চ। লঞ্চের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য দু’দিকেই প্যাডেল থাকবে। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ওই প্যাডেল ঘুরবে। অন্যান্য পুরনো ঐতিহ্যও বহাল রাখা হবে।
কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় বছর দুয়েক হল কলকাতার গঙ্গায় হেরিটেজ ট্যুর শুরু করেছে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে তা খুবই আকর্ষণীয় বলে কেওপিটি’র হেরিটেজ কো-অর্ডিনেটর গৌতম চক্রবর্তী জানিয়েছেন। সারা রাত ধরে লঞ্চ ভ্রমণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন নতুন একটি লঞ্চে গঙ্গায় হেরিটেজ ট্যুর চালানো হয়। প্যাডেল স্টিমার ‘পি এস ভূপাল’ পাওয়া গেলে সুবিধা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এখন চাহিদা থাকলেও সবাইকে হেরিটেজ ট্যুরে জায়গা দেওয়া যায় না। কারণ ৩০ জনের বেশি লোক ওই লঞ্চে নেওয়া যায় না। ‘পি এস ভূপাল’ সংস্কার করা হলে সেখানে প্রায় একশো যাত্রী নেওয়া যাবে। বেশি যাত্রী নেওয়া গেলে টিকিটের দামও কমতে পারে। আগামী বছরের গোড়ার দিকে প্যাডেল স্টিমারটি চালু করা হতে পারে বলে গৌতমবাবু আশাপ্রকাশ করেছেন। কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গাবক্ষে ঘোরা ছাড়াও এটিকে মায়াপুর সহ দূরের পর্যটনস্থলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বর্ষাকালে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ গঙ্গাবক্ষে হেরিটেজ ট্যুর বন্ধ রাখে। বর্ষা চলে গেলেই ফের ট্যুর শুরু হবে। তার কয়েকমাসের মধ্যেই চলে আসবে প্যাডেল স্টিমার।
হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত জাতীয় জলপথে জলযান চলাচল শুরু হয়েছে। পণ্য ছাড়াও এই পথে যাত্রী পরিবহণ হবে। ওই পথে বিলাসবহুল ক্রুজ যাতায়াত করবে। ঢাকা থেকে জলপথে কলকাতা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহণও ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। শীতকালে এই পরিষেবা নিয়মিত চলবে। জলপথে এই দীর্ঘ ভ্রমণ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে বলেই বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা।