বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মীদের সাহায্যে বিভিন্ন মোড়ে হেল্প ডেস্ক বা ক্যাম্প করা হয়েছিল। ডাফরিন রোড-ডিএল খান রোডের সংযোগস্থলে এমনই একটি ক্যাম্পে সকাল থেকেই ঘোষণা করা হচ্ছিল, ‘চিড়িয়াখানা আড়াইটের পর খুলবে। আপনারা সভাস্থল ঘুরে আসুন।’ কেউ কেউ এই ঘোষণা শুনে হতাশ হয়ে চলে যান, কেউ আবার সেই বার্তা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়েই পশুশালা ঘুরে আসেন। চিড়িয়াখানা খোলা দেখে তাঁদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। যেমন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর টুডু বললেন, কলকাতায় তো আসার সুযোগ হয় না। এরকম একটা সুযোগ পেয়ে এখানে না এসে থাকতে পারলাম না। আবার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মহম্মদ এহসান বলেই ফেললেন, নেতাদের এড়িয়েই চলে এসেছি এখানে। একটু ঘুরে নিচ্ছি।
তবে এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই বক্তব্য শুরু দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তৃতা যাতে দূর পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য আলোকস্তম্ভগুলিতে মাইক লাগানো হয়েছিল। বিজেপিকে তখন তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন নেত্রী। আর তাঁরই দলীয় কর্মীদের একটা অংশ তখন ব্যস্ত শিম্পাঞ্জি, বাঘ, হাতি দেখতে। আবার একটি অংশকে দেখা গেল, গাছের ছায়া খুঁজে চাদর পেতে ব্যাগকে মাথার বালিশ বানিয়ে জিরিয়ে নিতে। কেউ কেউ গভীর ঘুমেও মগ্ন ছিলেন। উত্তর দিনাজপুর থেকে আসা তৃণমূল কর্মী রফিক আনোয়ার বললেন, এত গরমে আর ওই ভিড়ে যেতে পারিনি। তাই এখানে একটু জিরিয়ে নিতে এসেছি। বিকেলে বাস ছাড়লে, চলে যাব। আবার বর্ধমানের সমীর মুখোপাধ্যায়ের কথায়, দিদির কথা তো রেকর্ডিংও শুনতে পারব। কলকাতা তো ঘুরতে পারব না। তাই এই সময়টা ঘুরে নিচ্ছি। ভিড় চোখে পড়ল ভিক্টোরিয়াতেও। অন্যান্য রবিবারের চেয়ে এদিন সেখানেও সভায় আসা লোকেদের ভিড় ভালোই ছিল।
এদিকে, সকাল থেকে এমন বিভ্রান্তিকর ঘোষণা হওয়ায় বেশ বিরক্ত চিড়িয়াখানার কর্তারা। এক কর্তা বললেন, এভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনও মানে হয় না। সভায় আসেননি, এমন বহু মানুষও তো বেরিয়েছিলেন এখানে আসার জন্য। তাঁরাও বিভ্রান্ত হয়েছেন ওই ঘোষণায়। এমন ঘোষণা কাম্য ছিল না।