বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে এয়ারপোর্ট থানার গাড়িতে করে ওই পাঁচজন বন্দিকে নিয়ে দমদম পুরসভা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিস সূত্রের দাবি, গাড়িতে পুলিসের একজন চালক ছাড়া দু’জন কনস্টেবল ছিলেন। পুরসভা হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় অভিযুক্ত দুই বন্দি এয়ারপোর্ট এক নম্বরের কাছে আচমকাই পুলিসের গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিসকর্মীরা তৎক্ষণাৎ কন্ট্রোল রুমকে খবর দেয়। কন্ট্রোল রুম থেকে বারাকপুর কমিশনারেট এবং দমদম থানাকেও খবর দেওয়া হয়। সেই মতো এয়ারপোর্ট এক নম্বর গেট এলাকা এবং অদূরেই থাকা জঙ্গলে ভরে যাওয়া জেশপ কারখানা এলাকায় প্রায় বিকেল পর্যন্ত তন্নতন্ন করে দুই বন্দির সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়। এছাড়াও দমদমের বিভিন্ন বাহির পথ এলাকায় নাকা চেকিং করেও তল্লাশি চালানো হয়। যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিসের আরও দাবি, যেখান থেকে তারা পালিয়েছে, তার কাছে জেশপের কারখানা রয়েছে। আর যেহেতু কারখানা এলাকাটি এখন পুরোপুরি জঙ্গলে ঘেরা, তাই সেখানেই অভিযুক্তরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই, পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ছিল। তাই সেখানে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে জেশপ কারখানা চত্বরে অনেকক্ষণ তল্লাশি চালায়। সংলগ্ন দমদমেরও বিভিন্ন অলিগলিতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু, অভিযুক্ত দু’জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পলাতক দুই অভিযুক্ত হল নয়ন মণ্ডল ওরফে বাচ্চা বাবু এবং চঞ্চল সিং। এদের বাড়ি যথাক্রমে বসিরহাট এবং বাঁকড়া আমতলা এলাকায়। এরা পালিয়ে কোথায় যেতে পারে, সেবিষয়ে এদের সহযোগীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিস জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের ওই গাড়িতে থাকা দুই পুলিসকর্মীর দাবি, ঘটনাস্থলে গাড়ি একটু আস্তে হতেই দরজা খুলে অভিযুক্ত দু’জন চম্পট দেয়। যদিও তারা কতটা ঠিক কথা বলছে? সেবিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে বলে কমিশনারেটের এক কর্তা জানান। এর জন্য ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এমনকী প্রত্যক্ষদর্শীদেরও খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে কমিশনারেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।