বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ গয়েশপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একদল দুষ্কৃতী হানা দেয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী দল প্রথমে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করে। এর জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এরপর ৭টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রতিটি বাড়ির দরজা, জানলা ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি একটি বাড়ির ভিতরে ঢুকে রান্নাঘরেও ভাঙচুর চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে পিঙ্কি মণ্ডলের। তিনি বলেন, আচমকাই দুষ্কৃতীরা এসে বাড়ির দরজা জানলা ভাঙচুর করেছে। কি কারণে ভাঙচুর আমরা জানি না। আমরা তৃণমূল দলই করি। তবু ভাঙচুর করা হয়েছে।
আক্রান্তদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের একটি অন্য গোষ্ঠী রয়েছে। তারাই এসে এই হামলা চালিয়েছে। ওরা দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিল। ফের ওরা এলাকায় ফিরেছে। এসেই ওরা আমাদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। দলের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছেন গয়েশপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান মরণ দে। তিনি বলেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কিছু সমাজবিরোধী রয়েছে। তারাই এই ভাঙচুর করেছে। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিসকে জানানো হয়েছিল। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিসকে বলা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে।
এদিকে, শুক্রবার কল্যাণী কলেজে টিএমসিপি ও এবিভিপির সংঘর্ষের ঘটনার পর শনিবার থমথমে ছিল এলাকা। এদিন কল্যাণীতে কালা দিবস পালন করে এবিভিপি। শনিবার কলেজে প্রথম বর্ষের স্ক্রুটিনি ছিল। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের স্ক্রুটিনিতে সহযোগিতা করা নিয়ে দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কলেজের মধ্যেই বোমাবাজি হয়। বোমাবাজিতে দুই নিরীহ ছাত্র জখম হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।