পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারাকপুর মহকুমা এলাকা আক্ষরিক অর্থেই অর্জুন সিংয়ের গড়। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি যেমন এই এলাকার বেতাজ বাদশা ছিলেন। বিজেপিতে এসেও তিনি কার্যত সেই সিংহাসনেই। তিনি বিজেপিতে এসে ছিনিয়ে নিয়েছেন বারাকপুর লোকসভা আসন। এর সঙ্গে ভাটপাড়া, নোয়াপাড়া বিধানসভা আসনও। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হতেই একের পর এক পুরসভা গেরুয়া হয়ে গিয়েছিল। যদিও হালিশহর, কাঁচরাপাড়া পুরসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলাররা ফের তৃণমূলে ফিরেছেন।
তা সত্ত্বেও ২১ জুলাইয়ের আগে নামমাত্র কয়েকটা প্রচার মিছিল হয়েছে। কয়েকটা মাত্র পথসভা। ২১ জুলাই সংক্রান্ত তেমন হোর্ডিং নজরে পড়েনি। মাইকিং শোনা যায়নি। ধর্মতলার সভা নিয়ে আগ্রহও কম। বারাকপুর মহকুমার জন্য ১৭৫টি বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। তিনি বলেন, মোট ১৭৫টি বাস দিয়েছি। এছাড়া নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে যাবে অনেকে। আর রয়েছে ট্রেন। ট্রেনে শিয়ালদহ নেমে ধর্মতলা যাওয়া সহজ। অর্জুন সিং যখন ছিলেন, তখন এখানকার মানুষদের নিয়ে উনি যেতেন না। অর্জুন, সুনীল একা একা যেতেন। এবার বারাকপুর মহকুমার মানুষ উজাড় করে ২১ জুলাইয়ের জনসভায় যোগ দেবেন। আগের তুলনায় দ্বিগুণ মানুষ যাবেন।
২০১১ সাল থেকেই ২১ জুলাইয়ের অর্থ পাল্টে গিয়েছে বলে মন্তব্য করলেন বারাকপুরের বিজেপির এমপি অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যাঁর নির্দেশে ২১ জুলাই গুলি চলেছিল, তাঁকেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া হল। শহিদ পরিবারগুলির কথা ভাবেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সাল থেকে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ হয়ে উঠল নাচাগানার মঞ্চ। অভিনেত্রীরা নাচলেন। তখনই ২১ জুলাইয়ের মর্যাদাহানি হল। এখন ২১ জুলাইয়ে মমতার ডাকে কেউ যান না। জেলা থেকে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া দেখার জন্য মানুষ আসেন। বারাকপুর থেকেও নামমাত্র লোকজন যাবেন।