গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদ সদস্যদের ডেকে পাঠিয়েছেন। তার আগের দিন দলের শহিদ স্মরণ দিবস। লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে শাসক দলের বিপর্যয় ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণবঙ্গের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের উপর বেশি পরিমাণ কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে এই সভায় আনার দায়িত্ব বর্তেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মীদের আনা ও নিয়ে যাওয়ার বড় দায়িত্ব জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে কর্মাধ্যক্ষ ও জেলা পরিষদ সদস্যদের নিতে হচ্ছে। আর তার ঠিক পরের দিনই জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সভা। আগে জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে অন্য জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের ডাকা হতো। জেলা পরিষদ সদস্যদের এই প্রথম যেমন ডাকা হচ্ছে, তেমন শুধুমাত্র জেলা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও প্রথম। সেকারণে, সমস্ত ব্যস্ততার মাঝেও প্রত্যেক জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা নিজেদের জেলার উন্নয়নের ঠিকুজি-কুষ্ঠি ঝালিয়ে নিতে শুরু করেছেন। অবসর পেলেই জেলা পরিষদের আধিকারিকদের কাছ থেকে নেওয়া নির্দিষ্ট পরিসংখ্যানে অনেকেই চোখ বোলাচ্ছেন। কত কিলোমিটার রাস্তা পাকা হয়েছে, খারাপ রাস্তা এখনও কত কিলোমিটার রয়েছে, বাংলা আবাস যোজনায় কত বাড়ি হয়েছে, কেন অনেক বাড়ি অসম্পূর্ণ, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কী কাজ হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজ কেমন চলছে এমন নানান বিষয় সকলেই ঝালিয়ে রাখছেন।
তবে আশঙ্কার পাশাপাশি ওইদিনের উপস্থিতির কথা ভেবেও অনেকে স্বস্তিতে আছেন। কারণ, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারি সভাধিপতি ও জেলাপরিষদ সদস্যদের ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে নির্দিষ্ট কোনও জেলাকে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলার সময় পাবেন না বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে বিভিন্ন প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নমূলক কাজকে একদিকে রেখে, সমস্ত ব্যর্থতার দিকগুলো নিয়েই বেশি প্রশ্ন করেন। সেই অতীত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এবার তাই কেউ প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে চাইছেন না।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল বলেন, আমরা ২২ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর পথনির্দেশ পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। উনার নির্দেশমতোই আমরা আগামী দিনে এগিয়ে যাব। সভার জন্য বিশেষ কোনও প্রস্তুতি নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রস্তুত রয়েছি। জেলার রাস্তাঘাট, জল সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কী কী কাজ হয়েছে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে।