বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ধর্মতলার সভায় দলের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১,৩০০ বাস ভাড়া করা হয়েছে। যেহেতু এবার ২১ জুলাই রবিবার পড়েছে তাই খুব বেশি সমস্যা হবে না বলে তাঁর দাবি। কারণ, রবিবার সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেশি বের হন না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার এই জেলা থেকে আড়াই থেকে তিন লক্ষ মানুষকে সভায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। সেক্ষেত্রে বড় সংখ্যক মানুষকে ট্রেনে নিয়ে যাওয়া হলেও বাস ও ছোট গাড়িতে প্রচুর মানুষকে নিয়ে যেতে হবে। তার মধ্যে সরকারি বাস রয়েছে প্রায় ৪৬১টি। এছাড়া বেসরকারি বাস রয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০টি। ফলে রবিবার দিনভর বারাসত, বনগাঁ, বসিরহাট ও ব্যারাকপুরের বিভিন্ন রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শনিবার দুপুরের পর থেকেই বারাসত শহর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা কমেছে। কারণ, যেসব জেলা থেকে ওইসব বাস আসে, আগেভাগেই ওইসব বাসকে স্থানীয়ভাবে বুক করে নেওয়া হয়েছে। ফলে এদিন বিকেল থেকে সামান্য হলেও বারাসত সহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী দুর্ভোগ শুরু হয়েছে। এই দুর্ভোগ রবিবার সকাল থেকে চূড়ান্ত আকার নেবে।
বারাসতের তিতুমির বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন চলাচল করা প্রায় ২৫০টি বাসের মধ্যে ২২০টি বাস ভাড়া করে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে বসিরহাট, ব্যারাকপুর ও বনগাঁর মূল বাসস্ট্যান্ডের ৯৯ শতাংশ বাস ভাড়া করেছে শাসক দল। ছোট গাড়ি, ম্যাটাডোরে করেও বিভিন্ন এলাকার কর্মীরা সভায় যাবেন। এছাড়া অটো ইউনিয়নের সদস্যরা এদিন সকাল থেকে সভার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ফলে এদিন অন্যান্য দিনের মতো সিংহভাগ জায়গায় অটো পরিষেবা পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ফলে অন্যান্য বছরের মতোই হাতেগোনা কয়েকটি বাস ও গাড়িতে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে হবে জেলাবাসীকে। বহুক্ষেত্রে রিকশ, মেশিন ভ্যানেও বেশি টাকা দিয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অলক বিশ্বাস বলেন, বারাসত, বারাকপুর, বনগাঁ ও বসিরহাটের ৯৯ শতাংশ বাস শাসক দল ভাড়ায় নিয়েছে। ফলে রবিবার সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় বাস পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। দূরপাল্লার অনেক বাস শনিবার বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।