পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশের জন্য দমদম, চাঁদনি চক, এসপ্ল্যানেড, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান, মহানায়ক উত্তমকুমার এবং কবি সুভাষ স্টেশনে কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হবে। সাধারণ কর্মীদের পাশাপাশি স্টেশনগুলিতে বাড়তি আরপিএফও মোতায়েন করা হবে। ফ্ল্যাপ গেটের কাছে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা হবে। টোকেন সংক্রান্ত ব্যাপারে যাত্রীদের যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তা তাঁরা দেখবেন। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, যেহেতু ভিড় বাড়বে, তাই বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় বেড়ে গেলে, অতিরিক্ত কাউন্টার খোলার কথা বলা হয়েছে।
তবে, পাতাল পথে ট্রেনের সংখ্যা না বাড়লেও পূর্ব রেল জানিয়েছে, হাওড়া এবং শিয়ালদহ বিভাগে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। হাওড়া বিভাগে হাওড়া-বর্ধমান রুটে দু’টি, বর্ধমান-হাওড়া রুটে দু’টি, একটি করে হাওড়া-ব্যান্ডেল, ব্যান্ডেল-হাওড়া, হাওড়া-কাটোয়া, কাটোয়া-হাওড়া রুটে, দু’টি ট্রেন হাওড়া-তারকেশ্বর রুটে চালানো হবে। এছাড়াও, রবিবার চালানো হয় না এমন চারটি ট্রেনও এদিন চালানো হবে। একইভাবে শিয়ালদহ বিভাগে চার জোড়া লোকাল ট্রেন চালানো হবে। শিয়ালদহ থেকে ট্রেনগুলি যাবে কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, লক্ষ্মীকান্তপুর এবং ক্যানিং। ক্যানিং পর্যন্ত যে ট্রেনটি যাবে, সেই ট্রেনটি ফিরতি পথে আসবে সোনারপুর পর্যন্ত। এছাড়াও, দু’টি রেককে তৈরি রাখা হবে। সেগুলিকে দরকার পড়লে ব্যবহার করা হবে। রেলের এক কর্তা বলেন, ভিড় বাড়লে বিশেষ ট্রেন চালানো হয়। এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। ভিড়ের কারণেই রবিবারও বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে স্টেশনগুলিতে ট্রেন সংক্রান্ত ব্যাপারে নিয়মিত ঘোষণা, শেষ মুহূর্তে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম না বদল করার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে নিরাপত্তাকর্মীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।
গত বছরের মতো এবারও দলীয় সমর্থকরা শতাধিক সরকারি বাস ভাড়ায় নিয়েছেন বলে খবর। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কমবেশি ১০০টি বাস নেওয়া হয়েছে ভাড়ায়। এসবিএসটিসির ১৫ থেকে ২০টি বাস ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে। তবে, তৃণমূলের সভার জেরে আজ রাস্তায় ব্যাপক হারে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটোর সংখ্যা কমবে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। বেসরকারি পরিবহণের মালিকদের কথাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। বাস কম থাকার পিছনে মালিকদের যুক্তি, প্রথমত, অধিকাংশ বাসই ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে। বাসের বহু শ্রমিকও সভায় যাবেন। তাই ভাড়ায় না যাওয়া একাংশ বাসকে রাস্তায় বার করা যাবে না। তৃতীয়ত, রাস্তায় যানজটের আশঙ্কায় আবার অনেকে বাস চালাবেন না। সোমবার থেকে অবশ্য আগের মতোই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাস মালিকরা।