গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশোধনী বিল পাশের পর বর্তমানে জঞ্জাল বা নিকাশি বিভাগ সাফাই কাজের পর বিল এবং যাবতীয় তথ্যাদি স্বাস্থ্য বিভাগ, অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ এবং আইন বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকেই অর্থ আদায়ের রূপরেখা স্থির হয়। পুরসভার এক শীর্ষকর্তা বলেন, কর মূল্যায়ন বা অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ এরপর বিলের সঙ্গে ওই ‘কনজারভেন্সি চার্জ’ বা সাফাই কাজের বিল যুক্ত করে জমির কর্তা বা মালিকপক্ষকে পাঠায়। তবে এক্ষেত্রে কোনও জমির মালিকের ঠিকুজি না পাওয়া গেলে পার্শ্ববর্তী জমিগুলির অ্যাসেসমেন্ট নম্বর ধরে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের খোঁজ করে বিল তৈরি করা হয়।
এদিন যে বরোর বৈঠক হয়েছে, সেটির অধীনে কলকাতা বন্দরের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। যেখানে বন্দর কর্তৃপক্ষ বা তাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে অফিস চালানো বেসরকারি সংস্থার মালিকরা ফাঁকা জমিগুলি ঠিকমতো সাফাই না করায় দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মশার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এব্যাপারে শাসকদলের কাউন্সিলাররা অনেকেই তা মেয়রের সামনে তুলে ধরেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বন্দরের বেশ কয়েকজন কর্তাও। তাঁদের সামনেই মেয়র কাউন্সিলারদের অভিযোগে সহমত পোষণ করেন। পাশাপাশি, স্পষ্ট করে দেন, এভাবে কারওর অবহেলার কারণে সাধারণ মানুষকে বিপদের মুখে ফেলা যাবে না।
বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিনি বলেন, বর্ষায় বন্দর এলাকার জল জমার ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এখানে নিকাশিনালা থেকে ঠিকমতো পলি নিষ্কাশন করা হয় না। এবার কলকাতা পুরসভা সেই পলি নিষ্কাশনের দায়িত্ব নিচ্ছে। কারণ, পুর এলাকার মানুষ অবহেলিত হবেন, তা কোনওমতেই কাম্য নয়। এমনকী, জঞ্জাল সাফাইও করে দেবে। তবে এই কাজ বাবদ যে হিসেব হবে, তা বিল আকারে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরিষেবা, সম্পত্তিকর বাবদ অর্থ আদায় সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে পুরসভার সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক মধুর নয়। ইতিমধ্যে বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছে, বন্দর এলাকার যাবতীয় সম্পত্তিকর পুরসভাই আদায় করবে। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ তার ভাড়াটিয়াদের থেকে ভাড়া আদায় করতে পারবে। এরসঙ্গে পুরসভার কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু এতদিন বন্দর কর্তৃপক্ষ সম্পত্তিকর আদায় করলেও পুর প্রশাসনে তা জমা পড়ত না। সেকারণেই বিল পাশ করে সম্পত্তিকর আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে মেয়র জানান। যদিও এব্যাপারে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রকে বিষয়টি জানিয়েছে।