কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতো তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণে ইথিলিন গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। সেই গ্যাস সাধারণত উপরের দিকে উঠে যায়। কিন্তু, শুক্রবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় গ্যাস ভারী হয়ে নীচের দিকে নেমে এসে জনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে সমস্যা তৈরি করে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই ওই কারখানা থেকে গ্যাস বের হয়। তবে শুক্রবার রাতে গ্যাসের পরিমাণ বেশি থাকায় চোখ মুখ জ্বালা করা, ত্বকে জ্বলুনি, দমবন্ধ সহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একইসঙ্গে ওই কারখানা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ছাই বের হয়। তাতেও স্থানীয় জনপদের সমস্যা হয় বলে বাসিন্দারা দাবি করেছে।
শনিবার সকালে ওই কারখানায় ধর্নায় বসে ছিলেন বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকুমারী কেশরী। তিনি বলেন, খুব অস্বাস্থ্যকর ভাবে ওই কারখানা চালানো হচ্ছে। আশেপাশে জনপদের সমস্যা হচ্ছে অথচ কারখানা কর্তৃপক্ষ কোন কথাই শুনতে রাজি নন। সেই কারণেই আমরা ধরনায় বসে ছিলাম। যদিও পরে ওই কারখানার অন্যতম কর্তা প্রদীপ দত্ত আমাদের সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য সুমনা সরকার। তিনি বলেন, বিজেপি ধ্বংসাত্মক আন্দোলন করছে। আমি নিজে সকালবেলা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পাশাপাশি ওই কারখানায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং জেলা প্রশাসনের টিম পাঠানো হয়েছিল। রাতে মানুষের কিছু সমস্যা হয়েছিল এটা সত্য কিন্তু কারখানা বন্ধ হয়ে যাক কেউই তা চান না। এরকম সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে শুধু চর্চায় থাকার জন্য রাজনীতি কারও উপকারে আসবে না। বলাগড়ের বিডিও সুমিত সরকার বলেন, মানুষের যাতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কুন্তীঘাটে দীর্ঘবছর ধরে ওই সুতো কারখানা চলছে। মাঝে মাঝেই সেখান থেকে গ্যাস বেরিয়ে আসে। তবে শুক্রবার রাতে আচমকা তীব্র গ্যাস ওই কারখানা থেকে বের হতে শুরু করে স্থানীয় শেরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। রাতে এনিয়ে কারখানার দরজায় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে কোনমতে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে তারপরে দিন সকালেই ওই কারখানাতে প্রশাসনের দল পরিদর্শনে গিয়েছিল।