পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
রাতভর জেরার পর শনিবার সকালে সে পুলিসের কাছে স্বীকার করে, স্ত্রীর একাধিক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এই সন্দেহেই এক কসাইকে ৩০ হাজার টাকা সে দিয়েছিল। যদিও পুরো কাজটির জন্য তাদের মধ্যে এক লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। ওই কসাই খুন করে বস্তাবন্দি দেহ রিকশ করে বালির জেটি ঘাটে ফেলে দিয়ে আসে। এই কাজে তাদের আরও একজন সাহায্য করেছিল। এরপরই পুলিস উপেন্দ্র রজক, কসাই দিলওয়ার ও শাকিল আহমেদ নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে।
হাওড়া সিটি পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অমিত রাঠোর বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে উপেন্দ্রর গোলমাল চলছিল। বাড়িতে এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হতো। সেই জন্যই সে এই খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তা তাদের জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও পুলিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, দু’টি বস্তায় ওই মহিলার দেহের উপরের অংশ ও চপার পাওয়া গেলেও নিম্নাংশের হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে ওই মহিলার নিম্নাংশ তারা কোথায় ফেলেছে, তা জানার প্রয়োজন আছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উপেন্দ্র এলাকায় প্রচারও করেছিল, তার স্ত্রী অন্য যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, পুলিসের সন্দেহ হয়। এরপরই পুলিস তাকে দফায় দফায় জেরা শুরু করে। রাতভর লাগাতার জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে। উপেন্দ্র স্বীকার করে, স্ত্রীর সঙ্গে একাধিক যুবকের সম্পর্ক ছিল। বহুবার স্ত্রীকে বললেও সে শোনেনি। সেই কারণেই দিলওয়ার নামে ওই কসাইকে সে ৩০ হাজার টাকা দেয়। দিলওয়ার বুধবার রাতে বাড়িতে গিয়ে সোনিকে খুন করে। তারপর টুকরো করে বস্তায় ভরে শাকিলের রিকশয় বালিতে নিয়ে যায়। কিন্তু, রিকশ চালিয়ে শিবপুর থেকে বালি নিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না, পুলিস তা খতিয়ে দেখছে।