পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই সিসিটিভির ফুটেজ খুঁজছিলেন তদন্তকারী অফিসাররা। এরজন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন তাঁরা ঘুরে দেখেছেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও সেখানে গিয়েছেন। যে রেকে ওই ঘটনা ঘটেছে, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়েছে। রেক থেকে কত দূরে সজলবাবু পড়েছিলেন, তা মেপে দেখা হয়েছে। ছাড়ার সময়ে মেট্রোর গতি কী ছিল, তা জরিপ করার কাজ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর তাঁদের হাতে যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ এসেছে, তার সঙ্গে স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ মিলিয়ে দেখা জরুরি। তা করা গেলেই জানা যাবে, চালক ও গার্ড ট্রেন ছাড়ার আগে কেবিনের ভিতর থেকে বাইরে দেখেছিলেন কি না। যদি তা করে থাকেন, তাহলে তাঁদের সামনে কোনও বাধা ছিল কি না, তাও জানা যাবে। যার ভিত্তিতে কোন পর্যায়ে কার গাফিলতি ছিল, তা জানা সম্ভব। তার ভিত্তিতেই অন্যদের ডাকা হবে।
অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের দরজায় হাত আটকে যাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার ছিল মূল তদন্তের দ্বিতীয় দিন। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার থেকে মূল তদন্ত শুরু হয়। প্রথমদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শুক্রবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেকটিকে যাঁরা ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, সেই রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)-এর আধিকারিকদের এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত ওই রেকে কিছু সমস্যা ছিল কি না, তার দরজার অবস্থা কীরকম ছিল, ব্রেকের অবস্থা কীরকম ছিল—সেবিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজ নেয় তদন্তকারীরা। আজ শনিবার এই তদন্তের শেষ দিন। সূত্রের খবর, শেষদিনে গোটা ঘটনাটি পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই তদন্তকারী দল অন্তর্বর্তী রিপোর্ট দেবে বলে মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে।