বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিন রাজ্য সরকারের কর্তারা পুরসভাকে জানিয়ে দিয়েছেন, ডেঙ্গু ঠেকাতে অর্থের জন্য যেন কোনও গড়িমসি না করা হয়। কোনও এলাকা পরিষ্কার থেকে শুরু করে জমা জলে লার্ভা মারা, প্রয়োজনে ড্রোন উড়িয়ে মশা মারার তেল ছড়ানো ইত্যাদি কাজের জন্য অর্থের সংস্থানের কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু কাজ করতে হবে দ্রুত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেঙ্গুপ্রবণ বলে চিহ্নিত ৩, ৬, ৭, ১০, ১২ এবং ১৪ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানরা। এই বরোগুলির বিভিন্ন ওয়ার্ডে গত বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। এবার যাতে কোনওভাবে প্রতিরোধের কাজে গাফিলতি না থাকে, তার জন্য কাউন্সিলারদের প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকার জন্য আবেদন জানাবেন বরো চেয়ারম্যানরা। তাঁদের আরও বলা হয়েছে, এলাকায় যেসব পরিত্যক্ত বাড়ি, অফিসঘর কিংবা তালাবন্ধ ঘরবাড়ি রয়েছে, সেগুলির উপর যেন স্বাস্থ্যকর্মীরা নজর রাখেন। অতীনবাবু বলেন, যেসব জায়গায় আমরা কোনওভাবেই যেতে পারছি না, কিন্তু ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারিতে মশার লার্ভা ধরা পড়ছে, সেখানে ড্রোনের সাহায্যেই আমরা মশা মারার তেল ছড়াব। কোথাও জঞ্জাল জমিয়ে রাখলে পরপর দু’বার নোটিসে কাজ না হলে পুর-আইনের সংশোধিত ৪৯৬-এ ধারা অনুযায়ী এক হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার পথে হাঁটবে পুরসভা। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত পথে যাতে ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসা হয়, তার নজরদারিতে ১০ জনের একটি টিম ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তৈরি করেছে বলে জানান অতীনবাবু। ওই পথ ছেড়ে অন্য কোনওভাবে চিকিৎসা করলে বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে প্রশাসন। সেই হুঁশিয়ারি আগেই দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৩২। গত বছর এই সময়ে যা ছিল প্রায় ২০০। তবে বৃষ্টি সেভাবে না হওয়ায় এবার এখনও সেভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এখনই আক্রান্তের সংখ্যা কমে যাওয়াকে সাফল্য বলে ধরা ঠিক হবে না বলে মনে করছেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক আধিকারিকরা।