বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, বস্তিতে এক পড়শির বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে তোড়জোড় চলছিল। তাতে ওই পড়শির বাড়িতে রাত পর্যন্ত লোকজনের আনাগোনা ছিল। ফলে তা বানচাল হয়ে যায়। ঘটনার দু’দিন আগে বাড়িওয়ালা রবিয়ালকে ঘর ছেড়ে দিতে বলে। এজন্য তাকে জুলাই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এমনিতে রহমতের কারণে স্ত্রী চলে যাওয়াতে মাথা গরম হয়েছিল। তারমধ্যে বাড়িওয়ালা ঘর থেকে উঠে যেতে হবে বলায়, মনে মনে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, স্ত্রী ফরিদার পরকীয়া প্রেম ও চলে যাওয়া নিয়ে রহমত ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার জন্য রবিয়ালের উপর অসন্তুষ্ট ছিল অনেকে। এ নিয়ে বাড়িওয়ালার কাছে পড়শি ভাড়াটেরা রবিয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। রবিয়ালের সন্দেহ হয়, এর পিছনেও রহমতের উস্কানি রয়েছে। ফলে পুরো রাগটা গিয়ে পড়ে রহমতের উপর। এবার সে গভীর রাতে আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে অপারেশন করার ছক কষে।
তার পরিকল্পনা ছিল, তিনটের সময় কাজ সেরে বজবজ লোকাল ধরে ভোরের ট্রেন ধরে বালিগঞ্জে চলে যাবে সেখান থেকে নামখানা ধরে সাগরের দিকে গিয়ে গা ঢাকা দেবে। পরিকল্পনা অনুসারে ঘটনার দিন রাত দুটোর পর থেকে পড়শির ঘরের বাইরে ইলেকট্রিকের তার বিছিয়ে দেয় সে। এরপর কেরোসিন তেল ঢেলে ঘরে চলে আসে। রাত পৌনে তিনটের সময় অন্ধকারের মধ্যে বেরিয়ে পড়শির ঘরের বাইরে গিয়ে আগুন দিয়ে আকড়া স্টেশনের দিকে ছুট দেয়। প্রথম দিকে এটা তার কাজ বলে কেউ সন্দেহ করতে পারেনি। কিন্তু বিদ্যুতের তারটি তার ঘরের ভিতর পর্যন্ত টানা দেখে সকলে নিশ্চিত হয়, এ কাজ রবিয়ালের। এদিকে, বৃহস্পতিবারের ওই ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনার শোক শুক্রবারও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বগা নোয়াপাড়ার বস্তির মানুষ। প্রত্যেকে এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।