বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে পুরসচিব ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কলকাতা পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ এবং কলকাতা পুলিসের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও নির্মাণকারী সংস্থা কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) এবং রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)-র কর্তারাও ছিলেন। তাঁরা মুখ্যসচিবকে জানান, এয়ারপোর্ট থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত মাটির তলা দিয়ে মেট্রো রেল যাবে। কলকাতায় এটি তৃতীয় মেট্রো হবে, যা মাটির তলা দিয়ে যাবে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে বলে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
এছাড়াও বিমানবন্দর থেকে গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো লাইনের জমি নিয়ে একটু সমস্যা আছে। বিশেষ করে চিংড়িঘাটার সামনে মেট্রোর লাইন করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। একই সমস্যা রয়েছে ভিআইপি রোডে হলদিরামের সামনে। এই সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরসচিবকে। একইভাবে জমির সমস্যা আছে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে। জোকার কাছে কারশেড তৈরির জন্য যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার কারশেডের জন্য জমির ব্যবস্থা করেছে, আরও জমির প্রয়োজন। শুধু জমি নয়, একটি বাড়িও গোটা প্রকল্পে সমস্যা তৈরি করেছে। তবে এই প্রকল্পে বাকি জটিলতা কেটে গিয়েছে। আগে এটি মাঝেরহাট পর্যন্ত অনুমোদন ছিল, এখন তা বিবাদী বাগ পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছে। সেনাবাহিনীর অনুমতিও চলে এসেছে। ফলে এই প্রকল্পে মোমিনপুর থেকে ময়দান হয়ে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মাটির তলা দিয়ে মেট্রো যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা রইল না।
কোন প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে, তার রিপোর্ট এদিন বৈঠকে উল্লেখ করে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রথম পর্যায়ের যাত্রা কবে থেকে চালু হবে, তা লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। মুখ্যসচিব মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, দ্রুততার সঙ্গে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করুন। রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করবে। পুর-নগরোন্নয়ন দপ্তর ও পরিবহণ দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখেই কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। ২০২১ সালের মধ্যে একে একে মেট্রো প্রকল্পগুলি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকবে না বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ফাইল চিত্র