কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই মামলা চলাকালীন ক্ষুব্ধ আদালত সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এক পুরসভায় (হালিশহর) ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ মারফত অনাস্থা ভোটের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। এসব কী হচ্ছে? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার কিছু পরেই হালিশহর পুরসভা সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট অনাস্থা ভোটের উপর ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। সেদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি। যদিও জানা গিয়েছে, সেই ভোট সেরে ফেলা হয়েছে।
বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোটের দিন পুলিসের সাহায্যে বিজেপি কাউন্সিলারদের আটকে রাখার সংবাদে হাইকোর্ট গত ১৭ জুলাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। এদিন তাই বনগাঁ মামলার শুনানি শুরু হতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি পুরসভার চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাও কেন আপনি চেয়ার আঁকড়ে রয়েছেন? মানুষ আপনাদের গণপরিষেবা দিতে পাঠিয়েছে। কিন্তু, এসব কী হচ্ছে? এর ফল ভোগ করতেই হবে। কেন এত নির্লজ্জ আপনি?’ এই মামলার শুনানি চলাকালীনই হালিশহর পুরসভার অনাস্থা ভোটের নোটিস হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানোর প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি বলেন, হচ্ছেটা কী? যদিও সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, বনগাঁ বা হালিশহর পুরসভার অনাস্থা ভোটে কোনওরকম বেআইনি কিছু হয়নি। তাছাড়া একবার অনাস্থা ভোট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ছ’মাসের মধ্যে ফের অনাস্থা ভোট ডাকার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা ভোটে বনগাঁয় জিতেছে বিজেপি। সেখানকার এক বিধায়ক সহ পুরসভার ১২ জন কাউন্সিলার ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২২ আসনের পুরসভায় ২০টি তৃণমূল ও একটি করে আসন ছিল বাম এবং কংগ্রেসের। পরে এক মহিলা কাউন্সিলার বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে যান। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির দুই কাউন্সিলার তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু, হাইকোর্ট তাঁদের রক্ষাকবচ দেয়। ফলে ১১ জন বিজেপি এবং ৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলার অনাস্থা ভোটে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু, সেই ভোটের দিন বিজেপি কাউন্সিলারদের ভোটগ্রহণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অর্থাৎ, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যাঁরা অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁদেরই ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সেই দিন অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসন দাবি করলেও তার ফল প্রকাশ করা হয়নি বলে বিজেপি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারই শুনানিতে আদালত এই অভিমত দিলেও কোনও নির্দেশ দেয়নি এদিন। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।