পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার স্ট্র্যান্ড রোড, ব্রাবোর্ন রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট সহ বেশ কিছু রাস্তায় দু’দিক থেকে যান চলাচল করে। সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলিতে এই রাস্তাগুলি অবশ্য একমুখী থাকে। এবার ২১ জুলাই রবিবার পড়েছে। তৃণমূলের এই সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক এসে হাজির হবেন ধর্মতলায়। আর এই রাস্তাগুলি দিয়ে মিছিল আসবে সেখানে। তাই এখানে রাস্তা দ্বিমুখী থাকলে ছুটির দিন হলেও যানজটের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। শ্লথ হয়ে যাবে গাড়ির গতি। দুর্ভোগ পোহাতে হবে সাধারণ মানুষকে। সেই কারণে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ট্রাফিক গাড়ি চলাচল কোনও কারণে আটকে গেলে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। তার রেশ পড়বে লাগোয়া জেলাগুলিতেও। হাইওয়েতে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা দিতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্ট্র্যান্ড রোড ব্রাবোর্ন রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট, নিউ সিআইটি রোড, রবীন্দ্র সরণীর মতো দ্বিমুখী রাস্তাগুলি একমুখী করে দেওয়া হচ্ছে। লরি পার্কিংয়ের জন্য শহিদ মিনার, তাই গ্রাউন্ড, রেঞ্জার্স মাঠ সহ কয়েকটি জায়গায় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এগুলি ভরে যাওয়ার পর লরিগুলিকে পার্কিংয়ের জন্য শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পাঠানো হবে। লরির সংখ্যা অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেগুলিকে আর শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আগেই তাদের আটকে দেওয়া হবে। পার্কিং যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেজন্য রাত থেকে এই মাঠগুলিতে পুলিস মোতায়েন করা হবে। সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় ডিউটিতে নেমে পড়বেন ট্রাফিক বিভাগের অফিসাররা। পাঁচজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে টিম থাকছে বিভিন্ন জায়গায়।
ট্রাফিক ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সতর্ক পুলিস। যাতে কোথাও মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ বা পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে বৃহস্পতিবার লালবাজারে পুলিস কমিশনার সব পুলিস কর্তাকে নিয়ে বৈঠক করেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় মিছিল আসবে শিয়ালদহ, হাওড়া, হাজরা সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গায় ড্রপ গেট ও ব্যারিকেড করা হচ্ছে। যাতে বাড়তি ভিড় হলে, তা সামাল দেওয়া যায়। বসানো হচ্ছে সাত থেকে আটটি জায়ান্ট স্ক্রিন। এছাড়াও তিনটি কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুলেন্স, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে তৈরি রাখা হচ্ছে। যাতে বড় ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া যায় এবং আটকে পড়া লোকজনকে বাইরে বের করে আনা যায়। বসানো হচ্ছে ক্যাম্পও। সেখানে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা থাকবেন। আগের দিন রাত থেকেই মূল সভাস্থলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন একজন ডিসি। সকাল থেকেই সেখানে থাকবেন একাধিক পদস্থ কর্তা। মুখ্যমন্ত্রীকে ওয়াটারলু স্ট্রিট দিয়ে নিয়ে আসা হবে সভাস্থলে। লালবাজারের বক্তব্য, সমস্ত রকম ব্যবস্থাই রাখা হচ্ছে।