গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সাধারণত কী ধরনের অভিযোগ ওঠে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে? পুরসভার নির্ধারিত হার অনুযায়ী প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে দিতে হবে একটি চারচাকার গাড়ি পার্ক করার জন্য। অভিযোগ আসে, ১০ টাকার স্লিপ দিয়ে অথবা না দিয়ে এক ঘণ্টায় কোথাও ৪০, কোথাও ৫০ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার যে অংশ পার্কিংয়ের জন্য অনুমোদিত নয়, সেখানেও গাড়ি পার্ক করিয়ে বহু ক্ষেত্রে ১০০-১৫০ টাকাও নিচ্ছে কেউ কেউ। অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতানেত্রী থেকে শুরু করে পুলিস-প্রশাসনের একাংশও এই গা-জোয়ারি কারবারে জড়িত থাকে। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে কাটমানি ও তোলাবাজি সংক্রান্ত বিতর্কের মধ্যেই পুর-কমিশনার একটি নির্দেশিকা জারি করে যে পুর-বিভাগগুলিতে অবৈধ কাজকর্ম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তার মধ্যে লাইসেন্স ও কার পার্কিং ছিল।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গাডি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে এরকম অভিযোগ এলে সরাসরি তোলাবাজির অভিযোগ থানায় নথিভুক্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এর পাশাপাশি এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমস্ত পার্কিং লটেই লাগানো হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এক্ষেত্রে প্রথম পর্বে ক্যামাক স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, ধর্মতলার কিছু অংশ, বিবাদী বাগের কিছু পার্কিং এলাকায় (বিজনেস ডিভিশন) এই ক্যামেরা লাগানো হবে। সবসময় নজরদারির আওতায় থাকবে পার্কিং লটগুলি। কয়েকমাস আগে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে পুরসভা। সেই অ্যাপ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মীরাও জেনে নিতে পারেন, কোথায় কত গাড়ি রাখার জায়গা ফাঁকা রয়েছে বা ফাঁকা হতে চলেছে। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা এদিন জানান, গলায় ঝুলিয়ে রাখা মেশিন থেকে স্লিপ দিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়েই কর্মীরা মোবাইল অ্যাপে নজর দিতে পারেন না। তাই পুলিসকে বলা হয়েছে সংস্থাগুলিকে প্রিন্টার দিতে। তারা না দিলে পুরসভাই সেই ব্যবস্থা করবে। তাহলে মোবাইল থেকেই যেমন টাকা নেওয়ার স্লিপ দেওয়া যাবে, তেমনই নজর থাকবে পুরসভার অ্যাপেও। পুরসভার অন্যতম আয়ের ক্ষেত্র এই পার্কিং বিভাগ। তাই এক্ষেত্রে কড়া হতে পারলে পুরসভা আর্থিকভাবেও লাভবান হবে বলে আশাবাদী পুরকর্তারা।