গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে, মেট্রোয় জোর করে দরজা আটকে ট্রেনে ওঠার ঘটনার বিরুদ্ধে জরিমানা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এদিন পর্যন্ত দরজা জোর করে আটকে ট্রেনে ওঠার অভিযোগে মোট তিনজন যাত্রীকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তার মধ্যে গত সোমবার একটি ঘটনা ঘটেছিল পার্ক স্ট্রিট স্টেশনেই। বাকি দু’টি ঘটনা ঘটে গত বুধবার দমদম এবং এদিন বেলগাছিয়া স্টেশনে। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, জোর করে দরজা আটকে ট্রেনে ওঠার ঘটনায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সেই আশঙ্কা দূর করতেই যাত্রীদের স্বার্থে জরিমানা যেমন করা হচ্ছে, তেমনই স্টেশনগুলিতে জোরদার প্রচারও চালানো হচ্ছে।
দরজায় হাত আটকে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে যাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল, একটি দরজা বন্ধ না হওয়া অবস্থায় কীভাবে চলল ট্রেন? তার জন্য কাঠগড়ায় উঠেছিল দরজার ‘সেন্সর’। বিষয়টি নিয়ে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, মেট্রোয় কোনও ট্রেনের দরজায় সর্বোচ্চ ২০ মিলিমিটার ফাঁক (রেলের সুরক্ষাবিধিতে বৈধ) থাকলে সেন্সরে ধরা পড়বে না। কাজেই, সেক্ষেত্রে ট্রেন চলার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় না। সেই দিক থেকে সেন্সর বিভ্রাটের অভিযোগ তোলা অর্থহীন।
সোমবার পার্ক স্ট্রিট স্টেশন, সংশ্লিষ্ট রেক এবং নোয়াপাড়া কারশেড পরিদর্শন করেছিলেন সিআরএস। রেকগুলিকে পাকাপাকিভাবে তুলে নেওয়া হবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন, আপাতত রেকগুলিকে পরীক্ষা করা হবে। তাতেই রেকগুলির অবস্থা বোঝা যাবে। সেই পর্ব মিটলে রেকগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রেকগুলিকে এদিন চালানো প্রসঙ্গে মেট্রোর এক কর্তা বলেন, সেগুলিকে কারশেডে পরীক্ষা করেই ফের চালানো হচ্ছে। তবে, যে রেকে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেটিকে কারশেডে রেখে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, যাত্রী মৃত্যুতে সিআরএস তদন্ত আরও তিন-চারদিন চলতে পারে। তাঁর সামনে আজ, শুক্রবার চেন্নাইয়ের কোচ ফ্যাক্টরির প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। তদন্তে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে বলে খবর।