পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মেয়রের হয়ে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সওয়াল করে বলেছিলেন, বোর্ড অব কাউন্সিলারদের বৈঠক কেবল চেয়ারপার্সন পরিচালনা করতে পারেন। কর্পোরেশনের বৈঠক হলে তা পারেন সেখানকার কমিশনার। অথচ, অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনার ১৮ জুলাই বৈঠক ডেকেছেন। তাই পুর আইন অনুযায়ী ওই নোটিস অবৈধ। বিকাশবাবুর এই সওয়ালকেই আদালত এদিন মান্যতা দিয়েছে।
এদিন ওই পুরসভার চেয়ারপার্সনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়রের ওই দাবির তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁর মতে, চেয়ারপার্সনের নির্দেশ মতো কমিশনার ওই নোটিস দিয়েছেন। যাঁকে বৈঠকের ব্যবস্থা (অ্যারেঞ্জ) করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, ওই বৈঠক চেয়ারপার্সনই পরিচালনা করবেন। তাই ওই নোটিস জারি প্রসঙ্গে পদ্ধতিগত বা আইনগত ত্রুটি নেই বলে তিনি পাল্টা দাবি করেন।
এই প্রেক্ষাপটে চেয়ারপার্সনের হলফনামার তথ্য উল্লেখ করে মেয়রের তরফে বলা হয়, যে নোটিস ৯ জুলাই জারি হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর ১১ জুলাই কমিশনার জানান, তিনি চেয়ারপার্সনের নির্দেশে নোটিস পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ, আইনগত ত্রুটি ঢাকতে পরবর্তীকালে তা সংশোধানের চেষ্টা হয়। কিন্তু, আইনত তা গ্রাহ্য হতে পারে না। কারণ, অনাস্থা প্রস্তাব সংক্রান্ত বৈঠক আদতে ‘কনফিডেন্সিয়াল’। সেখানে কমিশনারের কোনও ভূমিকা থাকে না। পুরো বিষয়টাই নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত চেয়ারপার্সন ও তাঁর নিজস্ব অফিস মারফত।
এমন সওয়াল-জবাবের পর শুনানির শেষ পর্বে বনগাঁ পুরসভার মঙ্গলবারের ঘটনাবলিতে উষ্মা প্রকাশ করে আদালত। সেখানে কী ঘটেছে, তা প্রকাশিত সংবাদে স্পষ্ট। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে বিচারপতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালত আইনের রক্ষাকর্তা। সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কীভাবে বিচারপতি নিয়োগ হয়, জানি। তাঁদের মধ্যে কারা কোথায় জমি পেয়েছেন, তাও জানি। তিনি দাবি করেন, বিচারপতিরাও সমঝোতা করছেন। এমনকী সাম্প্রতিক বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিজেপি বিপুল টাকা খরচ করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে পরে তিনি এই প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
ওদিকে, বিকেল চারটে থেকে প্রায় ছ’টা পর্যন্ত চলা রায়দান পর্ব শেষ হওয়ার পর সব্যসাচী জানিয়েছেন, আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে। রায় হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী শিবিরের নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রায়ের প্রতিলিপি না দেখে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।